রাজ্যের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে উদ্যোগ নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার রাজধানীতে গিয়ে কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী নীতিন গডকড়ির সঙ্গে বৈঠক সারলেন তিনি। কেন্দ্রীয় পরিবহণ মন্ত্রীর সঙ্গে এদিনের এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রকের উচ্চপদস্থ কর্তারাও।
এই বৈঠকে কলকাতার একাধিক রাস্তা সম্প্রসারণ যেমন প্রাধান্য পেয়েছে, তেমনই উড়ালপুল তৈরিতে কেন্দ্রের অর্থ বরাদ্দের আবেদন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এমনকী, আম্ফান, ইয়াসের দাপটে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া রাস্তাগুলোর সংস্কারের জন্যেও আবেদন জানিয়েছেন তিনি। এছাড়াও দিঘা, বারাসত-বনগাঁর রাস্তার সংখ্যা বাড়ানো-সহ সুন্দরবনেও রাস্তা বাড়ানোর আবেদন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। শুধু তাই নয়, মাঝেরমধ্যেই ধসের কারণে বন্ধ হয়ে যায় উত্তরবঙ্গের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলো। সেখানকার জন্য বিকল্প রাস্তা তৈরির আবেদনও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
সম্প্রতি রাজ্যে বিনিয়োগ করতে ইচ্ছাপ্রকাশ করেছে টাটা গোষ্ঠী। এছাড়াও রাজ্যে চুক্তিচাষে বিনিয়োগ করতে ইচ্ছুক পতঞ্জলিও। সেক্ষেত্রে সম্ভব্য বিনিয়োগের আগেই রাজ্যের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা যাতে ঢেলে সাজানো যায়, তারই উদ্যোগ নিলেন মুখ্যমন্ত্রী। শুধু তাই নয়, উত্তরপূর্ব ভারতের সঙ্গে সড়কপথে অন্যান্য রাজ্যগুলোর যোগাযোগের মাধ্যম বলতে পশ্চিমবঙ্গই। সেক্ষেত্রে এরাজ্যে আরও নতুন রাস্তার প্রয়োজন আছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মূলত দু’টি দাবি জানিয়েছিলেন। এক, করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন। দুই, রাজ্যের নাম বাংলা করা। করোনা ভ্যাকিসনের আরও ২১ লক্ষ ডোজ টিকা বাংলায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রথম দাবিটি দ্রুত মেনে নিয়ে টিকা পাঠানোর কাজ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। দ্বিতীয়টি কবে মানবেন সেটা এখনও জানা যায়নি।