রাজ্য বিধানসভা ভেঙে দিতে চাইছেন বিহারের মুখ্য়মন্ত্রী নীতীশ কুমার। লোকসভা ভোটের সঙ্গেই যাতে বিধানসভা ভোট করা যায় সেব্যাপারে চেষ্টা করছেন নীতীশ কুমার। বুধবার এনিয়ে অভিযোগ করেছেন বিহারের বিরোধী দলনেতা তথা আরজেডি বিধায়ক তেজস্বী যাদব। কিছুদিন আগেই তেজস্বী ও নীতীশ কুমারের সঙ্গে ছিল গলায় গলায় সম্পর্ক। তবে বর্তমানে নীতীশের রাজনৈতিক অবস্থানের জেরে সেই সম্পর্কে একেবারে চওড়া ফাটল দেখা দিয়েছে।
এদিকে বার বারই শিবির বদলান মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। আর সেই ঘটনাকেও কটাক্ষ করেন তেজস্বী। তিনি বলেন, তিনি( নীতীশ কুমার) বিহার বিধানসভা ভেঙে দিতে চাইছেন। লোকসভা ভোটের সঙ্গেই তিনি চাইছেন বিধানসভা ভোট করে দিতে।
এদিকে জন বিশ্বাস যাত্রায় বেরিয়েছেন তেজস্বী যাদব। তিনি গোটা রাজ্য জুড়ে জনবিশ্বাস যাত্রায় বেরিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, ২০২০ সালের বিধানসভা নির্বাচন থেকেই বিহারে জেডিইউ তৃতীয় স্থানে চলে এসেছিল। তখন থেকেই নীতীশ কুমার এই পরিকল্পনা করছিলেন।
এদিকে তেজস্বী যাদবের দাবি, যদি বিধানসভা ভেঙে দিতে চান নীতীশ কুমার তবে তাঁকে বিরাট মাসুল দিতে হবে। তাঁর মতে তিনি যদি এই পরিকল্পনা নিতে চান তবে বড় ধাক্কা খেতে হবে তাঁকে।
তেজস্বী জানিয়েছেন, যদি নীতীশ কুমার বিহারের বিধানসভা ভেঙে দিতে চান তবে জেডিইউ আর বিজেপি দুটোই একেবারে শেষ হয়ে যাবে। তেজস্বী জানিয়েছেন, বিধানসভা তো হারেগি হি, সেই সঙ্গেই মোদীজিকেও হারানো হবে। তেজস্বী বলেন, কথায় কথায় খালি ভোটের কথা। এটা কি মজা নাকি!
তেজস্বী জানিয়েছেন, এই রাজ্যের মানুষের জন্য নীতীশ কুমারের করার কিছু নেই। এদিকে এর আগেও মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলার সময় তেজস্বী যাদব জানিয়েছেন, ২০২০ সালের বিধানসভা ভোটে আমার সঙ্গে একই ঘটনা হয়েছিল। সেই সময় আমাদের ১০-১৫জন প্রার্থীকে হারিয়ে দেওয়া হয়েছিল। অত্যন্ত অন্যায়ভাবে সেই সময় আমাদের প্রার্থীদের হারিয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি করেন তেজস্বী যাদব।
সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, সব জায়গায় সিসি ক্যামেরা বসানো দরকার। মূলত বুথে ও গণনাকেন্দ্রের বিভিন্ন এলাকায় সিসি ক্যামেরা বসানোর দরকার রয়েছে।
এদিকে সম্প্রতি বিহারের মুখ্য়মন্ত্রী তেজস্বী যাদব আরজেডির হাত ছেড়ে এনডিএর সঙ্গে ভিড়ে যান। এরপরই বিহারের রাজনীতিতে নয়া সমীকরণ উঠে এসেছে। সামনেই লোকসভা ভোট। বিহারে নতুন করে শক্তি পাচ্ছে এনডিএ জোট।