উত্তরপ্রদেশকে গণধর্ষণের স্বর্গরাজ্য বলা হয়। অনেকে আবার ‘রেপ হাব’ বলে থাকেন। এইসব তকমা থাকার পরও উত্তরপ্রদেশ সরকার দাবি করেছে, গত তিন বছরে এই রাজ্যে কোনও সাম্প্রদায়িক হিংসা বা দাঙ্গার ঘটনা ঘটেনি। এখন উত্তরপ্রদেশে যোগী আদিত্যনাথের সরকার। যেখানে হাথরাস, উন্নাও–সহ একের পর এক গণধর্ষণ ও হিংসার ঘটনা সামনে উঠে এসেছিল। সেই উত্তরপ্রদেশ সরকারই আজ ন্যাশানাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর নথি সামনে এনে দাবি করেছে, গত তিন বছরে এই রাজ্যে কোনও সাম্প্রদায়িক হিংসা বা দাঙ্গার মতো ঘটনা ঘটেনি।
একইসঙ্গে যোগী আদিত্যনাথের সরকার বিবৃতি দিয়ে দাবি করেছে, ‘এটা একটা পরিবর্তন। এখানে আগের বছরগুলিতে সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনা নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হযে দাঁড়িয়েছিল।’ যোগী আদিত্যনাথের সরকার এই দাবি করার মধ্যে দিয়ে পূর্বতন সরকারের দিকেই আঙুল তুলেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। এখানে আগে সমাজবাদী পার্টি এবং বহুজন সমাজবাদী পার্টি রাজত্ব করে গিয়েছে। তাঁদেরকেই কৌশলে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
বিবৃতিতে আরও দাবি করা হয়েছে, জিরো টলারেন্স নীতি অপরাধী ও অপরাধের বিরুদ্ধে নেওয়ায় এই পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। আর এই নীতি নিয়েছে যোগী আদিত্যনাথ নেতৃত্বাধীন সরকার। এই সরকার অপরাধ কমিয়ে আনতে সফল হয়েছে। এবং তাতেই সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা বেড়েছে। অপরাধকে প্রতিরোধ করে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রেখেছে এই সরকার। আইনশৃঙ্খলা সুদৃঢ় করে উত্তরপ্রদেশকে বিশ্বের দরবারে পুনরায় প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে। মহিলাদের উপর অপরাধ কমিয়ে আনতে এবং ক্ষমতায়ন করতে মিশন শক্তি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।