পকসো অ্য়াক্টের অপব্যবহার করা হচ্ছে, এনিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। আদালত জানিয়েছে, এই আইনের মাধ্য়মে ১৮ বছরের নীচে থাকা কোনও শিশুকে যৌন হেনস্থা থেকে রক্ষা করা, ও অপরাধীকে শাস্তি দেওয়াটাই লক্ষ্য। কিন্তু বয়ঃসন্ধিকালে দুজনের সম্মতির ভিত্তিতে কোনও রোমান্টিক সম্পর্ক গড়ে উঠলে সেটাকে অপরাধ বলে গণ্য করার অভিপ্রায় এই আইনের কোথাও নেই।
সেই সঙ্গেই আদালতের উদ্বেগ যে, পকসো অ্য়াক্টকে নির্যাতনের একটা মাধ্যম হিসাবে ধরা হচ্ছে। অন্যদিকে জামিন দেওয়ার ক্ষেত্রে ভালোবাসার সম্পর্ককে খেয়াল রাখা দরকার বলেও জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গেই আদালত জানিয়েছে, এক্ষেত্রে অভিযুক্তকে জেলে পাঠানোটা একটা অন্যায্য ব্যাপার।
বিচারপতি কৃষান পাহাল মৃগরাজ গৌতম নামে এক ব্যক্তিকে জামিন দিয়েছিলেন। তার বিরুদ্ধে এক কিশোরীকে অপহরণ, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একজনকে অপহরণ ও ১৫ বছর বয়সি এক কিশোরীকে প্রলোভন দেখানোর অভিযোগ উঠেছিল। উত্তরপ্রদেশের জালাউনে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছিল।
আদালত ওই অপরাধের প্রকৃতিটা অত্যন্ত ভালোভাবে খতিয়ে দেখে। কিশোরীর বিবৃতির পরিপ্রেক্ষিতে খতিয়ে দেখা হয়, অভিযুক্ত কতটা জড়িয়ে ছিলেন ওই ঘটনার সঙ্গে। তবে আদালত জানিয়েছে, পকসো অ্য়াক্টকে নির্যাতনের একটা মাধ্যম হিসাবে ধরা হচ্ছে। অন্যদিকে জামিন দেওয়ার ক্ষেত্রে ভালোবাসার সম্পর্ককে খেয়াল রাখা দরকার বলেও জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গেই আদালত জানিয়েছে, এক্ষেত্রে অভিযুক্তকে জেলে পাঠানোটা একটা অন্যায্য ব্যাপার।
সব মিলিয়ে পকসো আইনের অপব্যবহার যাতে না করা হয় সেব্যাপারে নিশ্চিত করার কথা জানিয়েছেন হাইকোর্ট।