নয়ডার সেক্টর ৯৩এ’তে অবস্থিত এমেরাল্ড কোর্ট হাউজিং সোসাইটি সমস্ত অবিবাহিত ভাড়াটেদের অবিলম্বে ঘর খালি করার নোটিশ জারি করেছে। সোসাইটির বক্তব্য, ওই ভাড়াটিয়ারা নিয়ম লঙ্ঘন করে সেখানে রয়েছেন। এই নোটিশ নিয়ে জোর বিতর্ক শুরু হয়েছে।
সোসাইটির বাসিন্দাদের ওয়েলফেয়ার সোসাইটি (আরডব্লিউএ) সদস্যের বক্তব্য, তারা বাসিন্দাদের কাছ থেকে বেশ কয়েকটি অভিযোগ পেয়েছেন, যে ভাড়ার চুক্তি এক ব্যক্তির নামে ছিল। তারপরেও ফ্ল্যাটে ভাড়াটিয়া হিসেবে বেশ কয়েকজন যুবক রয়েছে যারা নিরাপত্তার সমস্যা তৈরি করছিল। এই ধরনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পেয়িং গেস্ট (পিজি) হিসেবে বসবাসকারীদের ফ্ল্যাট খালি করতে বলে নোটিশ জারি করা হয়েছে।
১৫ নভেম্বর জারি করা নোটিশে সোসাইটির নিয়মের কথা উল্লেখ করে জানানো হয়েছে পেয়িং গেস্ট অ্যাকোডেশন, গেস্ট হাউস বা ছাত্রদের ফ্ল্যাট ভাড়া দেওয়া যাবে না। তাতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, আবাসনে বসবাসকারী অন্যান্য বাসিন্দাদের নিরাপত্তার স্বার্থেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সোসাইটির এই নোটিশকে ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। অনেকেই এর বিরোধিতা করেছেন। সোসাইটির এই নোটিশকে বেআইনি বলে মনে করছেন অনেকেই। আইনজ্ঞদের মতে, আবাসিক এলাকায় শাসনকারী সংস্থাগুলি বাসিন্দাদের পরিচালনা করার জন্য নিয়ম বা উপ-আইন তৈরি করতে পারে ঠিকই। তবে এই ধরনের বৈষম্যমূলক নিয়ম তৈরি করতে পারে না। সহজেই এনিয়ে আদালতে চ্যালেঞ্জ করা যেতে পারে।
বাসিন্দাদের আইনজীবী সুনীল ম্যাথিউ বলেন, অ্যাপার্টমেন্ট মালিক সমিতি তাদের সাধারণ বডি মিটিংয়ে শৃঙ্খলা এবং নিরাপত্তা বজায় রাখতে নিয়মগুলি প্রয়োগ করে। এর জন্য রেজোলিউশন পাস করে। তবে জাতি, লিঙ্গ, ধর্ম বা বৈবাহিক অবস্থার উপর ভিত্তি করে বৈষম্য করে এমন নিয়মগুলিকে আদালতে চ্যালেঞ্জ করা যেতে পারে।
যদিও এমেরাল্ড কোর্ট রেসিডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের (ইকোরওয়া) সভাপতি ইউবিএস তেওটিয়া বলেছেন, ‘এই নিয়মটি নতুন নয় এবং আমরা বাসিন্দাদের কাছ থেকে বেশ কয়েকটি অভিযোগ পাওয়ার পরেই নোটিশ দিয়েছি। আমরা কাউকে রাতারাতি জায়গা খালি করতে বলিনি বরং দুই থেকে তিন মাস সময় দিয়েছি।’