নেপালের দাবির কোনও ঐতিহাসিক ভিত্তি, প্রমাণ নেই, ধোপে টিকবে না- নয়া ম্যাপ প্রসঙ্গে ভারত
1 মিনিটে পড়ুন Updated: 13 Jun 2020, 11:07 PM ISTনেপালের দাবি খারিজ করল নয়াদিল্লি।
নেপালের দাবি খারিজ করল নয়াদিল্লি।
ভারতের ভূখণ্ডের অংশ নিজেদের বলে দাবি করে নয়া ম্যাপ এনেছে নেপাল। শনিবার সংসদের নিম্নকক্ষে সর্বসম্মত ভাবে সংবিধান সংশোধনী বিলটি পাশ হয়েছে। এরপর উচ্চকক্ষে মান্যতা পেলেই ম্যাপটি আইনি হয়ে যাবে। নেপালের এই আচরণে তীব্র অসন্তোষ জানাল ভারত। নিজেদের দাবি কৃত্তিম ভাবে বৃদ্ধি করার প্রচেষ্টা ও আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি মিটিয়ে ফেলার যে বোঝাপড়া হয়েছিল, নেপাল সেটিকে ভেঙেছে বলেই ভারতের অভিযোগ।
নেপালের নয়া ম্যাপ প্রথম প্রকাশ্যে এসেছিল গত মাসের ২০ তারিখ, যেদিন সেটি পেশ করেন কেপি শর্মা ওলির মন্ত্রী। এদিন তা পেল নিম্ন কক্ষে স্বীকৃতি। ভারতের বিহার ও উত্তরাখণ্ডের কিছু অংশ আছে এই ম্যাপে। এর মধ্যে আছে লিপুলেখ, কালাপানি ও লিমপিয়াধুরা।
এদিন ২৭৫ সদস্যের মধ্যে ২৫৮ জন উপস্থিত ছিলেন। সবাই নয়া ম্যাপের পক্ষেই রায় দেন। বিরোধী নেপালি কংগ্রেস ও রাষ্ট্রীয় প্রজাতন্ত্র দলের প্রতিনিধিরাও সমর্থনে ভোট করেন। এরপর জাতীয় অ্যাসেম্বলিতে যাবে এই বিল যেখানে সহজেই পাশ হওয়া উচিত।
বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র বলেন যে এটা কৃত্তিম ভাবে নিজেদের জমির দাবি বাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা প্রতিবেশী রাষ্ট্রের। অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেন যে ভারত নিজের অবস্থান আগেই স্পষ্ট করেছে।
তিনি বলেন এই কৃত্তিম বৃদ্ধি কোনও ঐতিহাসিক তথ্য, প্রমাণের ওপর ভিত্তি নয়। নেপালের দাবি ধোপে টিকবে না, সাফ করেন তিনি। দুই দেশের মধ্যে সীমান্তের সমস্যা আলোচনার মাধ্যমে মিটিয়ে ফেলার যে প্রস্তাব ছিল এটি সেটিকেও ভঙ্গ করে, মনে করিয়ে দিয়েছে নিউ দিল্লি।
মানস সরোবর যাত্রার জন্য লিপুলেখ দিয়ে যেতে একটি রাস্তা তৈরি করেছিল নেপাল। সেটা নিয়েই গণ্ডগোল। নেপালের দাবি যে এই তিন অঞ্চল ১৮১৬-র ট্রিটি অফ সাগৌলি অনুযায়ী তাদের অংশ, কারণ সেই চুক্তিতে বলা আছে কালি নদীর পূর্বদিকের সব অঞ্চল নেপালের। ওলির দাবি যে ভারত কাঁটাতার সৃষ্টি করছে অঞ্চলে, নেপালের ভূমিতে সেনা পাঠিয়ে।
নেপাল নিয়ে অবশ্য এদিন সংযত প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন ভারতের সেনাপ্রধান এম এম নারভানে। তিনি বলেন নেপালের সঙ্গে ভারতের ঐতিহাসিক সম্পর্ক চিরকাল অটুট থাকবে। এর আগে তিনি বলেছিলেন কোনও অন্য দেশের উস্কানিতে এই কাজ করছে নেপাল।