প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রাক্তন বিস্বস্ত আধিকারিক এবং রাম মন্দির নির্মাণ কমিটির চেয়ারম্যান, নৃপেন্দ্র মিশ্র। ৭,০০০ আমন্ত্রিতদের থাকার বন্দোবস্ত, প্রাণ প্রতিষ্ঠার যাবতীয় কার্যকলাপের ক্ষেত্রে প্রধান পরিচালক ছিলেন তিনি।
নৃপেন্দ্র মিশ্র হলেন প্রাক্তন ইউপি ক্যাডার আইএএস অফিসার। ২০১৪ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মুখ্যসচিব ছিলেন তিনি। কয়েক মাস আগে এক সাক্ষাৎকারে কথা বলার সময়, মিশ্র বলেছিলেন যে রাম মন্দির নির্মাণের দায়িত্ব নেওয়া একটি 'ঐশ্বরিক আশীর্বাদ'। আমি আর কি চাইতে পারি? আমি বলছি না এটা আমিই পারব। আমার কাছে যা এসেছে তা ঈশ্বর দিয়েছেন। যিনি একাই আমার পরবর্তী পথ নির্ধারণ করবেন'।
উল্লেখ্য, নৃপেন্দ্র মিশ্র জানিয়েছেন যে রামমন্দির কমপ্লেক্সে আরও সাতটি মন্দির তৈরি করা হবে, যা সামাজিক সম্প্রীতির প্রতীক হবে। প্রাণপ্রতিষ্ঠার পর নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে।
রাম মন্দির ছাড়াও, ৭৮ বছর বয়সী অফিসার দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর যাদুঘর নির্মাণেরও নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। সিভিল সার্ভিসে তাঁর অসামান্য কর্মজীবনের তাঁকে পদ্মভূষণ এবং জাপানের মর্যাদাপূর্ণ অর্ডার অফ দ্য রাইজিং সান, গোল্ড এবং সিলভার স্টার এনে দিয়েছে।
মিশ্রের দুর্দান্ত অ্যাকাডেমিক রেকর্ডও রয়েছে। হার্ভার্ডের জন এফ কেনেডি স্কুল থেকে জনপ্রশাসনে স্নাতকোত্তর, রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এমএ এবং এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়নে এমএসসি পাস তিনি। মজার বিষয় হল, নৃপেন্দ্র মিশ্র এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন লেকচারার হিসাবে কাজ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু একজন শিক্ষক তাঁর মধ্যে আইএএস অফিসার হওয়ার উৎসাহ দেন। ইউপিএসসি ক্র্যাক করতে বলেন। বিশেষ পরামর্শটি মনে ধরে মিশ্রের।
এরপর ১৯৬৭ সালে আইএএস হন তিনি। ১৯৬৭ সালের আইএএস টেলিফোন রেগুলেটরি অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (ট্রাই)-এর চেয়ারম্যান হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। এককথায়, বেশ ক্ষমতাসম্পন্ন ইউপি ক্যাডারের আইএএস অফিসার ছিলেন মিশ্র। সে সময় দুই মুখ্যমন্ত্রী - মুলায়ম সিং যাদব এবং কল্যাণ সিংয়ের প্রধান সচিব হিসেবেও নজর কেড়েছেন নৃপেন্দ্রা মিশ্র।
জানা যায়, মিশ্রের তিন সন্তান রয়েছে। তাঁরাও বাবার মতো একইরকম গুণী। ছেলে সাকেত মিশ্র ইউপি বিধানসভায় একজন মনোনীত এমএলসি। মেয়ে পূর্বা মিশ্র মিডিয়ায় কাজ করে এবং ছোট মেয়ে প্রাচী মিশ্র অডিট এবং অ্যাকাউন্টস নিয়ে এগোচ্ছে।
বৃহস্পতিবার গর্ভগৃহে রামলালার মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে। ২২ জানুয়ারি ধুমধাম করে সম্পন্ন হয়েছে প্রাণ প্রতিষ্ঠা। এই গৌরবময় মুহূর্ত দেখতে সারা দেশ ও বিশ্বের মানুষ পৌঁছেছেন অযোধ্যায়। ভবিষ্যতে অনেকেই আসার পরিকল্পনা করছেন।