'কাশ্মীরে ২০০৯ সালের পর থেকে মেজাজ পরিবর্তন হয়েছে।' ঠিক এইভাবেই কাশ্মীর সম্পর্কে মুখ খুলে বক্তব্য রাখেন জাতীয় উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। তিনি সাফ জানান, কিছু পথভ্রষ্ট মানুষ কাশ্মীরে সমস্যা তৈরি করছে। তবে তাদের সঙ্গে লড়াই জারি রাখা হয়েছে। শুধু কাশ্মীরই নয়। সন্ত্রাসবাদ থেকে পাকিস্তান ইস্য়ুতেও এদিন বক্তব্য রাখেন অজিত ডোভাল। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অগ্নিবীর থেকে শুরু করেল পাকিস্তান ও সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে মুখ খোলেন তিনি। কথা হয় কাশ্মীর ইস্যুতেও।
পাকিস্তান ইস্যুতে কথা বলতে গিয়ে অজিত ডোভাল বলেন, ‘শান্তি আর যুদ্ধ কখনওই শত্রুর ইচ্ছামতো চলতে পারে না।’ একধাপ এগিয়ে অজিত ডোভাল বলেন, ‘যদি আমাদের নিজেদের স্বার্থ রক্ষা করতে হয়, তাহলে আমরা ঠিক করব, কখন, আর কার সাথে, আর কোন শর্তে শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে। পাকিস্তান সহ প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে আমাদের ভাল সম্পর্ক রয়েছে। ’ অজিত ডোভাল বলেন, ‘আমরা চাই পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক হোক। তবে সন্ত্রাসবাদের জন্য আমাদের ধৈর্য খুবই কম।’
পর পর বক্তব্যে কার্যত সাফ বার্তায় ইসলামাবাদকে টার্গেট করে এদিন কূটনৈতিক শক্তিশেল দাগতে ছাড়েননি জাতীয় উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। উল্লেখ্য, জাতীয় উপদেষ্টা এও জানান যে কাশ্মীরের মানুষ ২০০৯ সালের পর থেকে পাল্টে যাচ্ছেন। তাঁরা আর পাকিস্তানকে চাইছেন না। তাঁরা সন্ত্রাসবাদ থেকে দূরে থাকতে চাইছেন। এদিন কাশ্মীর ইস্যু ছাড়াও অগ্নিবীর ইস্যুতে অজিত ডোভাল বলেন যে, কোনও প্রশ্নই নেই 'অগ্নিবীর'কে তুলে নেওয়ার। সেনা বাহিনীতে আরও বেশি যুবশক্তির প্রয়োজন। তিনি বলেন, ভবিষ্যতের লড়াই হবে প্রযুক্তি ও যুব শক্তি, সু প্রশিক্ষিত অস্ত্রধারীদের নিয়ে। ফলে সেই নিরিখে তিনি অগ্নিবীরের সমর্থনে রয়েছেন বলে জানান।