অ্যাপ ক্যাবের ব্যবসা এখন ইলেকট্রিট ভেহিকেল পর্যন্ত প্রসারিত। তবে নয়া ব্যবসায় এখনও সেভাবে দাগ কাটতে পারেনি ওলা। প্রাথমিকভাবে গ্রাহকদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করতে সক্ষম হলেও বারবার প্রশ্ন উঠেছে ওলার ই-স্কুটারের মান নিয়ে। অনেক ক্ষেত্রেই স্কুটারে আগুন ধরে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। তৈরি হয়েছে বিতর্ক। এই আবহে এবার নয়া বিতর্ক তৈরি হল ওলাকে ঘিরে। আর এই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন ওলা ইলেকট্রিকের সিইও তথা প্রতিষ্ঠাতা ভাবিশ আগারওয়াল।
সম্প্রতি ব্লুমবার্গের এক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ওলার বহু প্রাক্তন এবং বর্তমান কর্মী ভাবিশের আচরণ নিয়ে অসন্তুষ্ট। ভাবিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ, অফিসে বৈঠক চলাকালীন আধিকারিকদের তিরস্কার করেন, গালি দেন তিনি। ছোট ছোট কারণে কর্মচারীদের শাস্তিও দিয়েছেন। রিপোর্ট অনুযায়ী, ওলা ইলেকট্রিকের কাজের পরিস্থিতি ক্রমেই নষ্ট হচ্ছে। এবং এর কারণ সংস্থার সিইও নিজে। প্রাক্তন কর্মচারীরা দাবি করেছেন, প্রেজেন্টেশনের একটি পৃষ্ঠার নম্বর না থাকার কারণে পুরো প্রেজেন্টেশন ছিড়ে দেন ভাবিশ। ভাবিশের মেজাজ হারানোর কারণে ঘণ্টা খানেকের বৈঠক শেষ হয়ে যায় মাত্র ১০ মিনিটেই।
রিপোর্ট অনুযায়ী, দরজা বন্ধ থাকার দোষে একবার এক কর্মীকে ওলার কারখানার তিন রাউন্ড চক্কর মারতে বলেছিলেন ভাবিশ। ভাবিশের অবশ্য এই সব অভিযোগ নিয়ে কোনও মাথা ব্যথা নেই। তাঁর বক্তব্য, ‘সবাই আমাদের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে না। বিশ্বের কোথাও কোনও স্ট্যান্ডার্ড ঠিক করে দেওয়া হয়নি কর্মস্থলের বাতাবরণ নিয়ে। আমাদের সংস্থায় আবেদ দিয়ে কাজ হয়। লম্বা দৌড়ের জন্য এই সংস্থাকে গড়ে তুলতে চাই। যদি এর জন্য কিছু লোককে ভুল পথে শাস্তি দিতে হয়, তাহলে তাই করব।’