সোমবার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ছিল। ১৯৫২ সালের এই দিনে আবদুস সালাম, আবুল বরকত, রফিক উদ্দিন আহমেদ, আবদুল জব্বার ও শফিউর রহমানরা নিজের মাতৃভাষার জন্য প্রাণ দিয়েছিলেন ঢাকায়। এই বীর শহিদদের স্মরণে আজও গান গাওয়া হয়, ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো ২১ ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি...’ আর বাঙালির বুকে এই ক্ষতচিহ্ন এঁকে দেওয়া পাকিস্তান আজও এই নৃশংসতার জন্য ক্ষমা চায়নি। এবার ত্রিপুরার শিক্ষামন্ত্রী দাবি করলেন যে সাত দশক পার হয়ে গেলেও এই ঘটনার জন্য বাংলাদেশের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত পাকিস্তানের।
ত্রিপুরার শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাথ সোমবার বলেন, ‘ দেরিতে হলেও সেখানে ভাষা আন্দোলনের সময় নৃশংসতার জন্য বাংলাদেশের জনগণের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত পাকিস্তানের। বাংলাদেশের জন্যই এসেছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। আন্দোলনের সময় পাকিস্তানিরা নৃশংসতা করেছিল। কিন্তু তারা (পাকিস্তানিরা) ক্ষমা চায়নি বা দুঃখ প্রকাশ করেনি। এটা তাদের নেতিবাচক মানসিকতার পরিচয় দেয়। তাই আমি বলব পাকিস্তানের ক্ষমা চাওয়া উচিত।’
পরে তিনি প্রতিটি সম্প্রদায়ের মাতৃভাষা সংরক্ষণের উপর জোর দিয়ে বলেন যে বিজেপি-আইপিএফটি সরকার গত চার বছরে ৪৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৪৯টি মাধ্যমিক এবং আরও ২২টি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বিষয় হিসাবে কোকবোরোক ভাষা চালু করেছে। তিনি ভাষার বিলুপ্তি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘গত ২৬ বছরে মোট ২৩১টি ভাষা হারিয়ে গিয়েছে, ইউনেস্কোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আরও ৬৩৯টি ভাষা বিলুপ্ত হতে চলেছে। আমাদের সরকার বাঙালিদের ভাষা এবং ১৯টি বিভিন্ন আদিবাসী সম্প্রদায় এবং রাজ্যের বিপন্ন জাতি-ভাষাগত উপভাষা - বংচার, কোরবং ইত্যাদি সংরক্ষণের জন্য কাজ করছে।’