আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখেই বিমান পরিচালনা করা হয়ে থাকে। আর তাই আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা অর্থাৎ ঝড়, অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত, কুয়াশার মত প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সময় বন্ধ রাখা হয় বিমানের উড়ান। শুধু মাত্র খারাপ আবহাওয়ার জেরে ২০২৩ সালে সারা দেশ জুড়ে ৩০০০টিরও বেশি বিমান বাতিল হয়েছে, এমনটাই জানাচ্ছে সরকারি তথ্য। এরই পাশাপশি গত বছরে ১৬০০টিরও বেশি বিমান প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে বাতিল করতে হয়েছিল। ২০১৯ সালের পর থেকে সংখ্যার দিক দিয়ে এটিই ছিল সর্বোচ্চ, সে বছর ৩,৮৯৩টি বিমান বাতিল করতে হয়েছিল খারাপ আবহাওয়ার জন্য।
সরকারি তথ্য অনুসারে, আবহাওয়া খারাপ থাকার কারণে সব মিলিয়ে ৩,০০৮টি বিমান বাতিল করা হয়েছিল, এর মধ্যে সবথেকে বেশি বিমান বাতিল করেছিল ইন্ডিগো। গত বছরে ইন্ডিগো মোট ২১৮৫টি তারপরেই অ্যালায়েন্স ৩২৩টি ও স্পাইসজেট ১৮৬টি বিমানের উড়ান বাতিল করেছিল। এছাড়াও এই একই সমস্যার কারণে ভিস্তারা ৮৯টি, এয়ারএশিয়া ভারতের পাঁচটি এবং আকাসা এয়ারের ২টি বিমান বাতিল হয়েছিল।
গত বছরের ডিসেম্বরে কুয়াশার কারণে উত্তর ভারতে বিভিন্ন এয়ারলাইন্স বিমান বাঁধার সম্মুখীন হয়েছিল, কারণ বিমান উড়ান ও অবতরণের জন্যে ২১০০ মিটার দৃশ্যমানতার দরকার হয়। তবে ঘন কুয়াশায় কারণে শত শত বিমানের উড়ানকে স্থগিত রাখা হয়েছিল। অন্যদিকে চেন্নাইতে ভারী বৃষ্টির কারণে ভারতের বৃহত্তম এয়ারলাইন, ইন্ডিগোর বিমান পরিষেবা বাঁধার সম্মুখীন হয়েছিল এবং বাতিল করতে হয়েছিল একাধিক বিমান।
প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে বাতিল বা বিমান উড়ানে বিলম্ব এড়াতে সরকার কর্তৃক গৃহীত ব্যবস্থা সম্পর্কে এক প্রশ্নের সরকার জানিয়েছে, এয়ারলাইন্স সংস্থাগুলিকে বিমান পরিচালনার জন্য নির্মাতার নির্দেশিকা অনুসারে ত্রুটি সংশোধনের জন্য ব্যবস্থা নিতে হবে। এছাড়াও জানানো হয়েছেডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল এভিয়েশন (ডিজিসিএ) -এর অধীনে বিমানে নিরাপত্তার মান, বিমানের পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের সাথে জড়িত বিমান সংস্থা, স্পট চেক এবং রাতের নজরদারি পরিচালনার একটি সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা রয়েছে। নজরদারির সময় চিহ্নিত কোনও অসঙ্গতি বা যেকোনও সংশোধনমূলক ব্যবস্থার প্রয়োজন হয়, তবে তা সে মূহুর্তেই সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইনকে জানানো হয়।