মণিপুর নিয়ে আঙুল উঠতেই পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, রাজস্থানে নারী নির্যাতনের প্রসঙ্গ তুলছে বিজেপির নেতা, মন্ত্রীরা। গেরুয়া শিবিরের এই পাল্টা দোষারোপের ‘কৌশলে’র সমালোচনায় সরব বিরোধীরা। জারি রয়েছে ‘টুইট যুদ্ধ’-ও। এবার টুইটে মণিপুর নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকায় সরব হলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম। তিনি গেরুয়া শিবিরের পাল্টা দোষারোপের কৌশলের সামলোচনা লিখেছেন, এই তুলনা মণিপুরের ‘বর্বরতাকে ক্ষমা’ করে না।
মণিপুর প্রসঙ্গে বিরোধীদের সালোচনার জবাব দিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, রাজস্থানের উদাহরণ দেন। সম্প্রতি মালদায় আদিবাসী মহিলাদের নিগ্রহের ঘটনাকে তুলে সমালোচনায় সরব হন তিনি।
তৃণমূল পাল্টা টুইট করে, ‘গত নয় বছর ধরে দায় এড়ানোর জন্য এই কৌশল ব্যবহার করছে বিজেপি।’ শনিবারই সংবাদসংস্থা এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সিপিএম নেত্রী বৃন্দা কারাত বলেন, ‘মালদার ঘটনার সঙ্গে মণিপুরের ঘটনার কোনও তুলনাই চলে না। আসলে ওই ঘটনার সঙ্গে তুলনা করে মণিপুরের ঘটনাকে খাটো করে দেখাতে চাইছে বিজেপি।’ এবার বিজেপির এই তুলনা কৌশলের সমালোচনায় সরব হলেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী চিদম্বরম।
(পড়তে পারেন। ‘মালদার সঙ্গে মণিপুরের ঘটনার কোনও তুলনায় চলে না’, কার্যত তৃণমূলের লাইন বৃন্দার)
তিনি টুইটে লিখেছেন, ‘ যদি ধরেনি পশ্চিমবঙ্গ এবং রাজস্থানে মহিলাদের উপর নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। তার সঙ্গে মণিপুর অব্যাহত হিংসার যুক্তি কীভাবে মেলে? উপত্যাকায় কি কোনও কুকি অবশিষ্ট আছে? চুরাচাঁদপুর এবং মণিপুরের অন্যান্য পার্বত্য জেলায় কি কোনও মেইতি অবশিষ্ট আছে? রিপোর্ট সত্য হলে, মণিপুরে জাতিগত নির্মূলকরণ প্রায় সম্পূর্ণ। বস্তুনিষ্ঠ মূল্যায়নে, মণিপুরে সাংবিধানিক সরকারের পতন ঘটেছে। কেন্দ্রীয় সরকার স্ব-রচিত কোমায়।’
তাঁর প্রশ্ন, ‘মণিপুরের সঙ্গে বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও রাজস্থানের পরিস্থিতির তুলনা করা যায় কী ভাবে? বাস্তব ধোঁয়ার পর্দার আড়ালে রেখে এটি একটি নির্মম ও নিষ্ঠুর তুলনা। যদি বিহার, পশ্চিমবঙ্গ এবং রাজস্থানে কঠোর পদক্ষেপের প্রয়োজন হয়, অবশ্যই রাজ্য সরকারগুলিকে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিন। তবে এই তুলনা, মণিপুরে যে বর্বরতা ঘটছে তাকে ক্ষমা করে না।’