মালদার বামনগোলা থানার পাকুয়া হাটে টাকা চুরির ঘটনায় দুই আদিবাসী মহিলাকে বিবস্ত্র করে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। মারধর করার সেই ভিডিয়ো সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, সিভিক ভলেন্টিয়ারের সামনেই ওই দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে চটি দিয়ে মারধর করছেন উত্তেজিত মহিলারা। এই ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই নিন্দার ঝড় উঠেছে সমস্ত মহলেই। একধাপ এগিয়ে এই ঘটনার সঙ্গে মণিপুরের ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে তীব্র নিন্দা করেছে বিজেপি। এবার এ নিয়ে সরব হলেন সিপিএম নেত্রী তথা রাজ্যসভার সাংসদ বৃন্দা কারাত। মালদার ঘটনার তীব্র নিন্দা করার পাশাপাশি এই ঘটনার সঙ্গে মণিপুরের জঘন্যতম ঘটনার তুলনা করার জন্য বিজেপির তীব্র নিন্দা করেছেন বৃন্দা কারাত। তিনি বলেন, ‘মনিপুরের ঘটনার সঙ্গে মালদার ঘটনার কোনও তুলনায় চলেনা।’
আরও পড়ুন: মণিপুরের পুনরাবৃত্তি মালদায়? 'ওরা চুরি করছিল', নির্যাতিতাদের নিয়ে বললেন মন্ত্রী
আজ শনিবার সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বৃন্দা কারাত বলেন, ‘মণিপুরের ঘটনার সঙ্গে মালদার ঘটনার তুলনা করবেন না। যেখানে মহিলাদের উপর নির্যাতন হয় সেটার আমি তীব্র নিন্দা করি। মালদার ঘটনাটি ঘটেছে একটি আদিবাসী বাজারে। যেখানে দুজন আদিবাসী মহিলাকে অন্যান্য আদিবাসী মহিলারা মারধর করছেন। তাঁদের বিবস্ত্র করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এটা খুবই নিন্দাজনক। তবে এই পুরো অঞ্চলটিতে একজন বিজেপি সাংসদ রয়েছেন।’ এরপরে তৃণমূল সরকার এবং বিজেপিকে কটাক্ষ করেন বৃন্দা কারাত। তিনি বলেন, ‘মালদায় যে ঘটনা ঘটেছে সেটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় মমতা সরকার যে ব্যর্থ সেটি প্রমাণ করেছে মাত্র। তবে বিজেপির আইটি সেল এই ঘটনার সঙ্গে মণিপুরের মতো মারাত্মক জঘন্যতম ঘটনার যেভাবে তুলনা করছে তার আমি তীব্র নিন্দা জানাই। এটা কখনওই মনিপুরের ঘটনার সঙ্গে তুলনার যোগ্য নয়। আসলে বিজেপি এই তুলনা টেনে এনে মণিপুরের ঘটনাকে খাটো করে দেখাতে চাইছে। যা নিন্দনীয় বলে মনে করি।’
উল্লেখ্য, মালদার ঘটনার পরেই বিজেপির তরফে অভিযোগ করা হয়, পুলিশের সামনেই দুই মহিলাকে বিভস্ত করে মারধর করা হয়েছে। পুলিশ সেখানে নীরব দর্শকের মতো ভূমিকা পালন করেছে। বিজেপি আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য এই ঘটনার ভিডিয়ো পোস্ট করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেন। যদিও পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী শশী পাঁজা এই ঘটনায় রাজনৈতিক রং চড়ানো হয়েছে বলে দাবি করেন।
এদিকে, ঘটনায় অন্যতম এক নির্যাতিতার মেয়ে দাবি করেন, তাঁর মা ও কাকিমা বাজারে লেবু বিক্রি করতে গিয়েছিলেন। তখনই তাঁদের মিথ্যা চুরির অপবাদে মারধর করা হয়েছে। এর আগে হাওড়ার পাঁচলা নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছিল বিজেপি। যদিও সেই ঘটনার সত্যতা খণ্ডন করেছিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য। তার পরেই নতুন ভিডিয়ো পোস্ট করে অমিত মালব্য তৃণমূল সরকারকে কটাক্ষ করেন।