মণিপুরে মহিলাদের নগ্ন করে ঘোরানোর ভাইরাল ভিডিয়ো নিয়ে সরগরম দেশের রাজনীতি। এই ইস্যুতে বিজেপির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পাল্টা বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলির দিকে আঙুল তুলেছে গোরুয়া শিবিরের মন্ত্রী ও বিধায়করা। পশ্চিমবঙ্গ, বিহার ও রাজস্থানের নারী নির্যাতনের ঘটনার উল্লেখ করে সরব হয়েছেন মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। তারই পাল্টা বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি নারী নির্যাতনের উদাহরণ টুইটে তুলে ধরল তৃণমূল।
(পড়তে পারেন। Manipur Gangrape & Murder: প্রকাশ্যে আরও এক মণিপুরি বিভীষিকা, ২ বোনকে গণধর্ষণ করে খুন ইম্ফলে, ধৃত ০!)
টুইটে তৃণমূল লিখেছে, ‘বিজেপি সংসাদ বিধায়কদের দ্বিমুখী কৌশল আজ কিছু অজানা নয়। ৯ বছরে ধরে বিজেপি দায়িত্ব এড়াতে এবং মনোযোগ সরানোর জন্য এই কৌশলগুলি ব্যবহার করে। কিন্তু অন্য দিকে আঙুল তুলে জবাবদিহি এড়ানোর মতো বিজেপির কৌশল আর কাজ করবে না। ভারত মণিপুরের কান্নাকে ভুয়ো খবরের আড়ালে ডুবতে দেবে না।'
মহিলাদের উপর নির্যাতন প্রসঙ্গে মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর বলেছেন, ‘যে কোন জায়গায় মহিলাদের উপর নির্যাতন হওয়া অন্যায়। কিন্তু কিছু মানুষ এই ধরনের ঘটনাগুলোকে রাজনৈতিক আয়নায় দেখে। দেশের কয়েকটি রাজ্য মহিলাদের উপর আক্রণের ঘটনা বড়েই চলেছে। এ সব নিয়ে কোনও ব্যবস্থাই নিচ্ছে না রাজ্যগুলি। বেগুসরাইতে কি হয়েছে তা সবার জানা। মুখ্যমন্ত্রী নিতিশ কুমার এ নিয়ে একটি কথা বলেননি। মহিলাদের উপর হিংসার ঘটনায় রাজস্থান ১ নম্বর। ২২ শতাংশ ধর্ষণ শুধু রাজস্থানেই হয় প্রতিবছর।’
পশ্চিমবঙ্গের প্রশ্নে অনুরাগ হাওড়ার পাঁচলা ও মালদার দুই মহিলাকে মারধরে ঘটনার উদারণ দিয়েছেন। মন্ত্রীর প্রশ্ন, ‘মমতার মমতা এখানে কোথায় গেল? সরকার কোথায় গেল? একটা পদক্ষেপও করা হল না কেন?’ তাঁর আরও প্রশ্ন এই রাজ্যগুলিতে ইন্ডিয়া জোট দল পাঠাবে না কেন?
পাল্টা টুইটে তৃণমূল ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর (এনসিআরবি) তথ্য তুলে দিয়ে লিখেছে, ‘এনসিআরবি পরিসংখ্যান দেখায় যে বিজেপি শাসিত অসমে মহিলাদের বিরুদ্ধে হিংসা সর্বোচ্চ। এমনকি সামগ্রিকভাবে, সারা দেশে নারীর বিরুদ্ধে অপরাধ ১৫.৩% বেড়েছে, ২০২০ সালে ২.৭১ লক্ষ মামলা এবং ২০১২ সালে ৪,২৮ লক্ষ মামলা হয়েছে। নারীর বিরুদ্ধে অপরাধের হার (প্রতি ১ লক্ষ জনসংখ্যায়) ২০২০ সালে ৫৬.৫% থেকে ২০২১ সালে ৬৪.৫%-এ বেড়েছে। যার মধ্যে উত্তরপ্রদেশ শীর্ষ রয়েছে। ৫ বছরে গুজরাটে ৪০,০০০ মহিলা নিখোঁজ হয়েছেন।’