পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমের শহর কোয়েটাতে আত্মঘাতী হামলা। বুধবার একটি পুলিশের নজরদারি ভ্যানে টার্গেট করা হয়েছিল বলে খবর। এই হামলায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। ২৮জনের বেশি আহত হয়েছেন এই হামলায়। তার মধ্যে ১৫জন পুলিশ আধিকারিকও আছেন বলে খবর।
পাকিস্তানি তালিবান জঙ্গি গোষ্ঠী এই হামলায় দায় স্বীকার করেছে। তেহরিক-ই তালিবান পাকিস্তান এই হামলার পেছনে আছে বলে দাবি করেছে। খবর রয়টার্স সূত্রে। এদিকে চলতি সপ্তাহেই সংগঠনের তরফে যুদ্ধবিরতিতে ইতি টানার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। এরপর হামলার হুঁশিয়ারি দিয়েছিল তারা।
পুলিশ আধিকারিক আব্দুল হক রয়টার্সকে জানিয়েছেন, পুলিশ পেট্রলিং ভ্যানকে নিশানা করে বোমা বিস্ফোরণ হয়েছে। এতে ৩০জন জখম হয়েছেন। তার মধ্য়ে ১৫জন পুলিশ। তার মধ্যে একজন পুলিশ, মহিলা ও শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
একটি পোলিও টিকাকরণ টিমকে নিরাপত্তা দিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন পুলিশকর্মীরাই। তখনই বিস্ফোরণ। এদিকে অনেক সময় ইসলামিক জঙ্গি গোষ্ঠী পোলিও ভ্যাকসিনের টিমকে টার্গেট করে। তাদের দাবি পশ্চিমী গোষ্ঠী গুপ্তচর বৃত্তি করার জন্য় এই পোলিও দেয়। সেই ভ্রান্ত ধারনা থেকেই তারা টার্গেট করে।
আফগানিস্তান ও ইরান সংলগ্ন এলাকায় এই কোয়েটা। এটি পাকিস্তানের বালুচিস্তানের রাজধানী। এখানে একাধিক ইসলামিক ও বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর ডেরাও রয়েছে। আর সেই কোয়েটতেই টার্গেট করল জঙ্গিরা। কারা এই তেহরিক ই তালিবান?
২০০৭ সালে তৈরি হয়েছিল এই টিটিপি। তালিবানের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেই কাজ করত এই সংগঠন। পাকিস্তানি জেহাদিদের নিয়ে তৈরি হয়েছিল তাদের বাহিনী। ইসলামিক আইনকে প্রয়োগের চেষ্টা তারা করে। পাকিস্তানের রাজধানী থেকে অন্তত ১৪০ কিমি দূরে তারা ক্ষমতা কায়েম করে ফেলেছিল একটা সময়।
এদিকে ২০১৪ সালে আর্মিদের সন্তানরা পড়ে এমন স্কুলে তারা হামলা চালিয়েছিল। অন্তত ১৫০জনকে তারা খুন করে ফেলে। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই পড়ুয়া। এরপরই সতর্ক হয়ে যায় পাক আর্মি। তারপরই তাদের পালটা নিকেশ করতে উঠেপড়ে লাগে আর্মি। মূলত এদের শেকড়় পোঁতা রয়েছে আফগানিস্তানে। পরে দাবি করা হয় এরা পাকিস্তানে নিজেদের ভিত মজবুত করে ফেলেছে। সম্প্রতি তারা দাবি করেছিল আর যুদ্ধ বিরতি নয়। আর এই দাবির দিন কয়েকের মধ্যেই কি উপস্থিতি জানান দিল তারা?