জাতীয় নীতির অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে সন্ত্রাসকে ব্যবহার করছে পাকিস্তান। সোমবার শাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও) আয়োজিত রাষ্ট্রপ্রধানদের নিয়ে গঠিত কাউন্সিলের বৈঠকে এই অভিযোগ জানিয়ে সম্মিলিত প্রতিরোধের ডাক দিল ভারত।
ভার্চুয়াল বৈঠকে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন ভারতের উপরাষ্ট্রপতি এম বেঙ্কাইয়া নাইডু পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলে বলেন, এই প্রবৃত্তি কাউন্সিলের শর্তাবলীর পরিপন্থী এবং সদস্য রাষ্ট্রগুলির সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক ঐক্যের পক্ষে বিপজ্জনক।
সভার শুরুতে তাঁর ভাষণে নাইডু কোভিড অতিমারী পরিস্থিতিতে অর্থনৈতিক বিকাশের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করার সময় সীমান্ত সংলগ্ন অঞ্চলে চিনের সড়ক নির্মাণ প্রকল্পকে বিঁধে বলেন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক স্থিতি বজায় রাখতে হলে প্রতিটি সদস্য দেশকে বহুস্তরীয় বাণিজ্য নীতি অনুসরণ করতে হবে।
উল্লেখ্য, এসসিও-র দ্বিতীয় বৃহত্তম সংস্থা রাষ্ট্রপ্রধানদের কাউন্সিলের আওতায় পড়ে সদস্য দেশগুলির বাণিজ্য ও অর্থনীতি এবং সেই সঙ্গে বার্ষিক বাজেট অনুমোদনের মতো বিষয়। ২০১৭ সালের পরে ফের এই সম্মেলন আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছে ভারত।
এ দিনের বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। আলোচনায় পাকিস্তানের তরফে অংশগ্রহণ করেন দেশের বিদেশ মন্ত্রকের দায়িত্বে থাকা সংসদীয় সচিব আন্দলিব আব্বাস। অন্য দিকে, রাশিয়া, চিন, কাজাখস্তান, কিরঘিস্তান, তাজিকিস্তান ও উজবেকিস্তানে প্রধানমন্ত্রীরা দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন।
বেঠকে বেঙ্কাইয়া নাইডু বলেন, বাণিজ্যের বিকাশ ঘটতে পারে শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় থাকলে। বর্তমানে এই অঞ্চলে অবস্থিত দেশগুলিতে নাশকতা, বিশেষ করে সীমান্ত সংলগ্ন সন্ত্রাসের রমরমা। সন্ত্রাসবদকে তিনি মানবিকতার শত্রু বলে বর্ণনা করেন।
তিনি বলেন, ভারত সব রকম সন্ত্রাসবাদের তীব্র সমালোচক। সন্ত্রাসে মদতকারী দেশগুলি নিয়ে ভারত সরকার চিন্তিত বলেও তিনি জানান।
সেই সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের ‘আত্মনির্ভর ভারত’ প্রকল্পের প্রচারও করেন নাইডু। বিশেষ করে কোভিড পরিস্থিতিতে ধ্বস্ত অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে ভারতের এই নীতি তাৎপর্যপূর্ণ বলেও তিনি জানান।