ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আমন্ত্রণ ফেরাতে পারলেন না পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, শুক্রবার পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে যে আগামী ৪ জুলাই সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) সদস্য দেশগুলির রাষ্ট্রনেতাদের যে বৈঠকে হতে চলেছে, তাতে যোগ দেবেন শরিফ। তবে মুখোমুখি সেই হাইপ্রোফাইল বৈঠক হচ্ছে না। বরং ভার্চুয়ালি বৈঠকের আয়োজন করেছে ভারত। তাই ভার্চুয়াল মাধ্যমেই সেই বৈঠকে যোগ দেবেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: UN List: ‘শিশুদের ওপর সশস্ত্র সংঘাতের প্রভাব’ সংক্রান্ত তালিকা থেকে বের হল ভারত, রয়ে গেল পাকিস্তান
ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, বর্তমানে চেয়ারপার্সন হিসেবে এসসিওয়ের বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদী। যে বৈঠকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক এবং আঞ্চলিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে। এসসিও সদস্যভুক্ত দেশগুলি কীভাবে এগিয়ে যাবে, সেই বিষয়টিও আলোচনায় উঠে আসবে। সেইসঙ্গে পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতিতে বিশেষভাবে ইরানের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। ওই বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, এসসিওয়ের নয়া সদস্য হিসেবে ইরানকে স্বাগত জানাতে মুখিয়ে আছে ইসলামাবাদ।
কিন্তু এবার ভার্চুয়ালি কেন বৈঠক হচ্ছে?
করোনাভাইরাস পরিস্থিতি কেটে গেলেও কেন ভার্চুয়ালি সেই বৈঠক হচ্ছে, তা নিয়ে ইতিমধ্যে মুখ খুলেছে ভারত। চলতি মাসের গোড়ার দিকে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, 'আপনারা জানেন যে গত কয়েক বছরে ভার্চুয়ালি হয়েছে একাধিক আন্তর্জাতিক বৈঠক। একাধিক বিষয় বিবেচনা করে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে ভার্চুয়ালি এসসিও বৈঠকের আয়োজন করা হবে। সেটাই সবথেকে ভালো হবে। কোনও একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের জন্য ভার্চুয়ালি এসসিও বৈঠকের আয়োজন করা হচ্ছে না।' সঙ্গে তিনি বলেন, ‘সাফল্যের সঙ্গে সেই বৈঠক আয়োজনের জন্য প্রস্তুতি চলছে। আমরা আত্মবিশ্বাসী যে ওই বৈঠক ফলপ্রসূ হবে এবং সাফল্য লাভ করবে।’
উল্লেখ্য, ২০০১ সালে সাংহাই একটি বৈঠকে এসসিও গঠন করে রাশিয়া, চিন, কিরগিজ রিপাবলিক, কাজাখস্তান, তাজিকিস্তান এবং উজবেজিস্তান। ২০১৭ সালে সেই গোষ্ঠীর স্থায়ী সদস্য হয়েছে ভারত এবং পাকিস্তান। গত বছর ১৬ সেপ্টেম্বর সমরখণ্ড থেকে এসসিওয়ের সভাপতিত্ব করছে ভারত।