তিনি নাকি পাকিস্তানের নাগরিক। আর সেই বানো বেগমই উত্তরপ্রদেশের এটাওয়ার জালেসর ব্লকে অন্তর্বর্তীকালীন পঞ্চায়েত প্রধানের দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন। সেই ঘটনায় চূড়ান্ত অস্বস্তিতে পড়ে যোগী আদিত্যনাথের প্রশাসন। মুখ বাঁচাতে তড়িঘড়ি বানোকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রায় ৩৫-৪০ বছর আগে ভারতে এসেছিলেন বানো। যিনি আদতে করাচির বাসিন্দা। এটাওয়ায় তাঁর আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। তারপর আখতার আলি নামে এক স্থানীয় ব্যক্তিকে বিয়ে করে দীর্ঘকালীন মেয়াদের ভিসায় এটাওয়ায় থাকতে শুরু করেন। একাধিকবার ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি। তারইমধ্যে ২০১৫ সালে নির্বাচনে জিতে গুয়াদাউ গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য হন।
এটাওয়ার জেলা পঞ্চায়েতরাজ আধিকারিক অলোক প্রিয়দর্শী জানান, গত বছর ৯ জানুয়ারি সেই পঞ্চায়েতের প্রধান শেহনাজ বেগমের মৃত্যু হয়। প্রধানের দায়িত্ব কে সামলাবেন, তা নিয়ে আলোচনায় বসেছিল কমিটি। সেখানে বছর ৬৫-এর বানোকে অন্তর্বর্তীকালীন পঞ্চায়েত প্রধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
তবে বিষয়টি সম্প্রতি সামনে এসেছে। বানোর বিরুদ্ধে এক ব্যক্তি অভিযোগ করেন যে বানো পাকিস্তানের নাগরিক। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশকে এফআইআর দায়ের করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে বানো কীভাবে আধার কার্ড এবং অন্যান্য নথি পেলেন, তা খতিয়ে দেখার জন্য তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন জেলাশাসক সুখলাল ভারতী। এটাওয়ার জেলা পঞ্চায়েতরাজ আধিকারিক বলেন, 'বানো বেগমকে পঞ্চায়েত প্রধানের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।'