পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধে আরবিআই-এর নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয় সম্প্রতি। এরপর থেকেই ধস নেমেছে পেটিএম-এর শেয়ারে। এরই মাঝে আবার একাধিক মিডিয়া রিপোর্টে দাবি করা হয়, পেটিএম-এর মালিক সংস্থা ওয়ান৯৭ কমিউনিকেশনস লিমিটেডের বিরুদ্ধে নাকি তদন্তে নেমেছে ইডি। প্রাথমিক ভাবে সেই দাবি উড়িয়ে দিয়েছিল পেটিএম। তবে আজ মিন্ট এবং এনডিটিভি সূত্রকে উদ্ধৃত করে ফের রিপোর্ট প্রকাশ করে দাবি করল, পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ আছে, তার তদন্ত শুরু করেছে ইডি। (আরও পড়ুন: পেটিএম-এ কী করা যাবে আর কী করা যাবে না? NPCI-এর সাথে আলোচনায় RBI)
আরও পড়ুন: রবীন্দ্রনকে সরাতে এবার বাইজুসকে NCLT টেনে নিয়ে যেতে পারেন বিনিয়োগকারীরা!
বিগত বেশ কয়েকদিন ধরে ক্রমাগত 'লোয়ার সার্কিটে' আছড়ে পড়েছে পেটিএম-এর শেয়ার দর। এই আবহে আজও এক ধাক্কায় প্রায় ১০ শতাংশ নেমেছে পেটিএম-এর শেয়ারের দাম। এরই মাঝে ফের ইডির তদন্তের খবর সামনে এল। এর আগেও একাধিক রিপোর্টে দাবি করা হয়, পেটিএম-এর মালিক সংস্থা ওসিএল এবং এর সহযোগী সংস্থার বিরুদ্ধে নাকি অর্থ তছরুপ এবং পাচারের অভিযোগে তদন্তে নেমেছে ইডি। সেই সময় বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ এবং ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জে নিজেদের বক্তব্য জানিয়েছিল পেটিএম। মিডিয়ায় প্রকাশিত ইডির তদন্তের বিষয়টি অস্বীকার করে পেটিএম দাবি করেছিল, পেটিএম-এর সঙ্গে যুক্ত কিছু ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে এই ধরনের তদন্ত হয়েছিল। তবে পেটিএম বা সংস্থার কোনও উচ্চপদস্থ কর্তার বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত হচ্ছে না। এর আগেও পেটিএম-এর সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে যখন তদন্ত হয়েছিল, তখন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা তদন্তে সহযোগিতা করেছিলেন। পাশাপাশি পেটিএম-এর তরফে দাবি করা হয়, অর্থ পাচারের মতো কার্যকলাপের সঙ্গে কোনও ভাবেই যুক্ত না সংস্থা। ভারতের আইন মেনেই সংস্থা কাজ করে এসেছে।
আরও পড়ুন: UAE-তে হঠাৎ প্রধানমন্ত্রী মোদীর মুখে আরবি ভাষা, দেখুন সেই ভাইরাল ভিডিয়ো
এর আগে আরবিআই-এর তরফ থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছিল, ২৯ ফেব্রুয়ারির পর থেকে পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট, ওয়ালেট এবং ফাস্ট্যাগ দিয়ে অনলাইনে কোনও টাকা দেওয়া যাবে না। শুধুমাত্র যে গ্রাহকদের অ্যাকাউন্ট বা ওয়ালেটে টাকা থাকবে, তাঁরাই ২৯ ফেব্রুয়ারির পরও অনলাইনে টাকা দিতে পারবেন। যতদিন টাকা থাকবে, ততদিন তাঁরা সেই সুযোগ পাবেন। একাধিক রিপোর্ট অনুযায়ী, একই প্যানকার্ডের সঙ্গে ১,০০০-এর বেশি গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট সংযুক্ত থাকা, লাগাতার গুরুত্বপূর্ণ নিয়মের লঙ্ঘন, ভুয়ো রিপোর্ট দাখিল, লাইসেন্সিং শর্তের চূড়ান্ত লঙ্ঘনের মতো কারণে পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্কের উপর শাস্তির খাঁড়া নেমে এসেছে। এদিকে তাদের বিরুদ্ধে ইডি তদন্তের দাবি উড়িয়ে দিয়ে পেটিএম দাবি করেছে, অর্থ পাচারের মতো কার্যকলাপের সঙ্গে কোনও ভাবেই যুক্ত না সংস্থা বা কোম্পানির কোনও আধিকারিক।
আরও পড়ুন: ভারত মহাসাগরে নজর দিল্লির, মলদ্বীপের খুব কাছেই এবার ২টি নৌঘাঁটি তৈরি করবে নৌসেনা
এই আবহে গত ৬ ফেব্রুয়ারি আরবিআই আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন পেটিএম প্রতিষ্ঠাতা তথা সংস্থার সিইও বিজয় শেখর শর্মা। সেদিনই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন পেটিএম সিইও বিজয় শেখর শর্মা। এই আবহে ধস নামা পেটিএম-এর শেয়রের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী হয়েছিল বুধের সকাল থেকে। তবে পরে জানা যয়, বিজয়কে নির্মলা ১০ মিনিটের বৈঠকে জানিয়েছিলেন, আরবিআই-এর সিদ্ধান্তে সরকার কোনও হস্তক্ষেপ করবে না। এরপর ফের ধস নামে পেটিএম-এর শেয়ারে।