বিগত কিছুদিন ধরে বাড়ছে জ্বালানির দাম। এবার একেবারে সেঞ্চুরি করেছে পেট্রল। এই নিয়ে বিরোধীরা সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে। জ্বালানির বর্ধিত মূল্য নিয়ে অবশেষে নীরবতা ভঙ্গ করলেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু এর জন্য আগের সরকারদের ওপরই দোষ চাপিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন যে মানুষের এত কষ্ট হত না যদি আগের সরকার শক্তিক্ষেত্রে আমদানি নির্ভরতা কমানোর চেষ্টা করত।
পরিসংখ্যান দিয়ে মোদী বলেন যে ভারত তার তেলের চাহিদার ৮৫ শতাংশ ও গ্যাসের চাহিদার ৫৩ শতাংশ আমদানি করে। তামিলনাড়ুতে তেল ও গ্যাসের একটি প্রজেক্টের উদ্বোধনে এই কথা বলেন মোদী। তিনি বলেন যে বৈচিত্রপূর্ণ ও প্রতিভাশালী দেশ কী এতটা অন্যের ওপর নির্ভরশীল হওয়া মানায়। মোদী বলেন যে কাউকে তিনি দোষ দিতে চান না কিন্তু এই বিষয়ে একটু আগে থেকে মনযোগ দিলে মধ্যবিত্তদের এত কষ্ট হত না।
প্রসঙ্গত রাজস্থান ও মহারাষ্ট্রের কিছু স্থানে ইতিমধ্যেই ১০০ ছুঁয়েছে পেট্রল। অন্য স্থানে ৯০-এর গণ্ডিতে ঘোরা ফেরা করছে দাম। প্রসঙ্গত, এপ্রিল-মে তে যখন আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম খুব কমেছিল, তখন সরকার করের বোঝা চাপিয়ে দেয়ে পেট্রলের ওপর রাজস্ব সংগ্রহের জন্য। এখন আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বেড়েছে। কিন্তু সরকার এই অপ্রত্যক্ষ কর কমায়নি। ফলে চড়চড় করে বাড়ছে দাম। সবমিলিয়ে পেট্রলের যে খুচরো দর তার ৬০ শতাংশ হল রাজ্য ও কেন্দ্রের চাপানো সেস।
মোদী বলেন যে পেট্রলে এখন ইথানল মেশানো হচ্ছে যাতে বাইরে থেকে কম আমদানি করা হয়। আপাতত সাড়ে আট শতাংশ মেশানো হচ্ছে, সেটা ২০২৫-এর মধ্যে কুড়ি শতাংশ করার টার্গেট বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।