ন্যাশানাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স নভি মুম্বইয়ের রায়গড়ের মাহাদ এমআইডিসির ফার্মা ইউনিট থেকে সম্পূর্ণ দগ্ধ হয়ে যাওয়া আটটি দেহ উদ্ধার করল। শুক্রবার ওই ওষুধ কোম্পানিতেই একের পর এক বিস্ফোরণ হয়। এর জেরে ৭জন আহত হয়েছিলেন বলে খবর মিলেছিল। অবশেষে সেখান থেকেই উদ্ধার করা হল পুড়ে যাওয়া একাধিক দেহ।
ব্লু জেট হেলথকেয়ার লিমিটেডের কেমিক্যাল ইউনিট। সেখানে অন্তত ৫৭জন কাজ করতেন। সেখানেই একের পর এক বিস্ফোরণের ঘটনা। মনে করা হচ্ছে সর্ট সার্কিট থেকেই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। শুক্রবার অন্তত ১১জন কর্মীর খোঁজ মিলছিল না।
এদিকে সূূত্রের খবর সেই দেহগুলি এতটাই ঝলসে যায় যে সেগুলি কার সেটা বোঝা যাচ্ছে না। একেবারে ভয়বহ পরিস্থিতি। মনে করা হচ্ছে সর্ট সার্কিট থেকেই বিস্ফোরণ হয়। তার জেরে আগুন ধরে যায়। তাতেই জীবন্ত দগ্ধ হয়ে যান কর্মীরা।
আপাতত ডিএনএ মিলিয়ে দেহগুলিকে চিহ্নিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এদিকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে মৃতদের পরিবারকে ওষুধ কোম্পানির তরফ থেকে ৪০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকেও ৫ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
শুক্রবারই এই ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়েছিল। এরপর শনিবার ওই দেহগুলিকে উদ্ধার করা হয়েছে। আসলে বিস্ফোরণের পরে চারদিক থেকে রাসায়নিক বেরিয়ে আসতে থাকে। তার জেরে আরও ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়। জেলা প্রশাসন ইতিমধ্যেই নির্দেশ দিয়েছে যাতে ধ্বংসস্তুপ দ্রুত সরিয়ে ফেলতে হবে।
এদিকে ঘটনার পর থেকে ৮জনের সন্ধান মিলছিল না। শনিবার তাদের পরিজনরা ওই কারখানার সামনে আসেন। পরে আটটি দেহ উদ্ধার করে তাদের সামনে হাজির করানো হয়। কিন্তু দেহগুলি এতটাই বিকৃত হয়ে গিয়েছে যে আত্মীয়রাও চিনতে পারছেন না। এরপরই সেগুলির ডিএনএ টেস্টের ব্যবস্থা করা হয়। তবে আরও তিনজনের খোঁজ মিলছে না। তারা কোথায় সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ধ্বংস্তুপের নীচে তারা চাপা পড়ে গিয়েছে কি না সেটা দেখা হচ্ছে।