বিদায়ী মন্ত্রিসভার কেউই জায়গা পাননি। এমনকী জায়গা পাননি করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করা কে কে শৈলজাও। এ নিয়ে অবশ্য কম সমালোচনার মুখে পড়তে হয়নি কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নকে। তবুও নিজের অবস্থান থেকে এক চুলও সরেননি বিজয়ন। তাঁর মতে, এই সিদ্ধান্ত তাঁর নয়, দলের। দল ভেবেচিন্তেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।বৃহস্পতিবার কেরালায় শপথ নিতে চলেছে নতুন মন্ত্রিসভা।
ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের মন্ত্রিসভা গঠন নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় দলের সমর্থক, লেখক, অভিনেতা–অভিনেত্রী থেকে শুরু করে সমাজের সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। যদিও তাঁর জামাই মন্ত্রিত্ব পেয়েছেন। কিন্তু এই সব বক্তব্যকে মান্যতা দিয়েই কেরালার মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, ‘আমি এদের সকলের আবেগকেই শ্রদ্ধা করি।কিন্তু দল অনেক আগে থেকেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, নতুন মুখকে মন্ত্রিসভায় আনবে।সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত।’ একই সঙ্গে তিনি জানান, বিদায়ী মন্ত্রিসভা যে ভালো ফল করেছে, তাঁর প্রতিফলন নির্বাচনের ফলাফলেই আমরা পেয়েছি। নতুন যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, সেটি সমষ্টিগত সিদ্ধান্ত।
মুখ্যমন্ত্রীকে বিদায়ী স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, কারও জন্য ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না। বিদায়ী স্বাস্থ্য মন্ত্রী কে কে শৈলজাকে রাখা হলে প্রশ্ন উঠত, কেন শৈলজার ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন এই নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের পিছনে আমার হাত রয়েছে। এমনটা নয়।এটা কোনও ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত নয়। সমষ্টিগত সিদ্ধান্ত।একইসঙ্গে তিনি জানান, করোনার বিরুদ্ধে সমষ্টিগতভাবে লড়াই করা হয়েছে। সেই লড়াই চলবে।
স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, বুধবার ১ লাখ ৪০ হাজার ৫৪৫ জনের মধ্যে করোনা পরীক্ষা হয়েছে। তারমধ্যে ৩২ হাজার ৭৬৩ জনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে।মৃ ত্যু হয়েছে ১১২ জনের। করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর এত সংখ্যক মৃত্যু কেরালায় একদিনে হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী করোনা পরিস্থিতির কথা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে জানিয়েছেন, রাজ্যে এখনও ১২ জনের দেহে ব্ল্যাক ফাংগাসের অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছে। একইসঙ্গে তিনি জানান, কেরালায় চারটি জেলায় তৃতীয়বার লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।পাশাপাশি বাকি রাজ্যে শাটডাউন রয়েছে। এরফলে সংক্রমণের মাত্রা আগের থেকে অনেকটাই কমেছে।