এসকে রামাচন্দ্রন
কর্ণাটকে ভরাডুবির পর থেকেই রণকৌশল নিয়ে নতুন করে চিন্তাভাবনা শুরু করেছে গেরুয়া শিবির। সামনেই পাঁচ রাজ্যে নির্বাচন। তার মধ্য়ে একটা রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় রয়েছে। বাকি একটি রাজ্যে তারা শাসকদলের শরিক হিসাবে কাজ করছে। কিন্তু সর্বত্র ভোটারদের মন পেতে এবার বিজেপি তাদের গেম প্ল্যান কিছুটা বদলাচ্ছে বলে ইঙ্গিত মিলেছে। এবার দেখে নেওয়া যাক সেই ভোটমুখী রাজ্যগুলির কথা।
মধ্যপ্রদেশে বিজেপি ক্ষমতায় রয়েছে। মিজোরামে শাসকদল মিজো ন্যাশানাল ফ্রন্টের শরিক হল বিজেপি। রাজস্থান ও ছত্তিশগড়ে ক্ষমতায় রয়েছে কংগ্রেস। অন্য়দিকে তেলেঙ্গানায় রয়েছে ভারত রাষ্ট্র সমিতি।
এক সিনিয়র বিজেপি নেতার মতে, শুধু ডবল ইঞ্জিন সরকারের কথা বলে ভোটারদের মন পাওয়া যাবে না। কর্নাটকে যে পরিস্থিতিটা তৈরি হল এবার। প্রসঙ্গত রাজ্যে ও কেন্দ্রে একই শাসকদল থাকাকে বিজেপি ডবল ইঞ্জিন সরকার বলে আখ্যা দেয়। কিন্তু কর্নাটকেও এবার এই ডবল ইঞ্জিন সরকার গড়ার কথা বলে ভোট বাজারে নেমেছিল বিজেপি। কিন্তু সেকথা বাস্তবে খাটেনি।
এক বিজেপি নেতার কথায়, কর্ণাটকে পরাজয়টা ছিল অত্যন্ত হতাশাজনক। হিমাচল প্রদেশে পরাজয়টা ছিল অল্প মার্জিনে। কিন্তু কর্নাটকে অনেকটা এগিয়ে গেল কংগ্রেস। প্রসঙ্গত বিজেপি সেখানে মাত্র ৬৬টি আসন পেয়েছে। আর ৩৬ শতাংশ ভোট পেয়েছে। অন্যদিকে ২২৪টি আসন বিশিষ্ট কর্নাটক বিধানসভায় কংগ্রেসই পেয়েছে ১৩৫টি আসন।
তবে এবার বিজেপি রণকৌশল কিছুটা বদলে ফেলছে। এক বিজেপি নেতার কথায়, এবার বলা হয়েছে কেন্দ্রীয় নেতারা, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা প্রচারে গেলে তাঁরা কেন্দ্রীয় নানা স্কিমের কথা বলবেন। আর রাজ্যের নেতারা কেবলমাত্র রাজ্যের উন্নতিতে কী কী প্রয়োজন সেটার উপর ফোকাস করবেন।
এদিকে বিরোধীরা অনেক সময়ই ইস্তেহারে বিনামূল্যে বিদ্যুৎ, মহিলাদের জন্য নানা সুবিধা ও প্রতিশ্রুতির কথা বলছেন। এমনকী ওল্ড পেনশন স্কিম ফিরিয়ে আনার কথাও বলছেন তারা। সেক্ষেত্রে বিরোধীদের সেই প্রতিশ্রুতিকে কাউন্টার করার জন্য উপযুক্ত হাতিয়ার প্রয়োজন। না হলেই সমস্যা।
এক বিজেপি নেতার কথায়, দলের তরফ থেকে বার বার বোঝানোর চেষ্টা করা হচ্ছে যে ক্ষমতায়ন আর সরকার থেকে কিছু পাইয়ে দেওয়ার মধ্যে ফারাক রয়েছে। কিন্তু বিরোধীদের নানা প্রতিশ্রুতিতে মন ঘুরে যাচ্ছে ভোটারদের। সেকারণে হর ঘর নল, পিএম আবাস যোজনার মতো কেন্দ্রীয় প্রকল্প সম্পর্কে আরও বেশি করে মানুষকে বোঝানো দরকার। এতেই ভোটারদের মন ভিজবে।