অবশেষে কথা হল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। জি-৭ সামিট, করোনাভাইরাস পরিস্থিতি, জর্জ ফ্লয়েড বিক্ষোভের পাশাপাশি ভারত-চিন সীমান্ত বিবাদ নিয়েও দু'দেশের রাষ্ট্রনেতার মধ্যে আলোচনা হয়।
পরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ৪০ মিনিটের আলোচনায় ভারত-চিন সীমান্তে অচলাবস্থা এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সংস্কারের মতো বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। চিনের সঙ্গে সীমান্ত দ্বন্দ্ব নিয়ে ঠিক কী আলোচনা হয়েছে, তা অবশ্য সরকারিভাবে জানানো হয়নি।
তবে সংশ্লিষ্ট মহল সূত্রে খবর, সীমান্ত বিবাদ নিয়ে দুই রাষ্ট্রপ্রধান নিজেদের মতামত জানিয়েছেন। যে অচলাবস্থা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর উত্তর সিকিমের নাকু লা এলাকায় চিনা সেনার আগমনের ফলে শুরু হয়েছিল। পরে গালওয়ানের তিনটি পয়েন্ট এবং লাদাখ সেক্টরের প্যাংগং সো লেকের একটি পয়েন্টে একই পদক্ষেপ করেছে বেজিং।
মোদী-ট্রাম্পের সেই ফোনালাপ নিয়ে রীতিমতো উচ্ছ্বসিত সরকারি মহল। কেন্দ্রের এক শীর্ষ কর্তা হিন্দুস্তান টাইমসকে জানান, ভারত-আমেরিকা সম্পর্ক ঐতিহাসিক উচ্চতায় পৌঁছে গিয়েছে। তিনি বলেন, 'কবে শেষবার এরকম হয়েছে যে আমেরিকার নাগরিক সমস্যা নিয়ে কথা বলেছেন একজন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী এবং মার্কিন প্রেসিডেন্টকে ভরসা জোগাচ্ছেন যে তিনি পরিস্থিতি সামলাতে পারবেন। বা কখন গুরুতর সীমান্ত বিবাদের সময় ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট! এটাই দেখাচ্ছে যে দুই নেতা (ভারত-আমেরিকা) সম্পর্ককে একেবারে অন্য পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছেন।'
তবে দিন পাঁচেক আগেই অবশ্য সেই ‘অন্য’ পর্যায়ে পৌঁছে যাওয়া সম্পর্কের ছবিটা ভিন্ন ছিল। মার্কিন প্রেসিডেন্টের দাবিকে কার্যত মিথ্যা বলেছিল ভারত। ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, চিনের সঙ্গে সীমান্ত সংঘর্ষ নিয়ে খুব খারাপ মেজাজে আছেন মোদী। তার জবাবে নয়াদিল্লি জানিয়েছিল, মোদী ও ট্রাম্পের মধ্যে তেমন কোনও কথাবার্তা হয়নি। বরং সরকারি সূত্রে দাবি করা হয়, গত ৪ এপ্রিল হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনিন নিয়ে আলোচনার পর দুই রাষ্ট্রনেতার আর কোনও কথোপকথন হয়নি। যদিও আপাতত সেই চোনাকে দূরে সরিয়ে রাখাই শ্রেয় বলে মত কেন্দ্রের শীর্ষকর্তাদের।