ভারতের সীমান্তবর্তী সব গ্রামে যাতে উন্নয়নকে পৌঁছে দেওয়া যায়, সেজন্য কড়া নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রী সব মন্ত্রককে নির্দেশ দেন, সরকারের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা যেন সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিতে এক রাত থাকেন। সেখানে থেকে গ্রামগুলির আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতি যেন বিচার বিশ্লেষণ করে দেখেন।
গত ২ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সরকারের সব মন্ত্রকের সচিবদের সঙ্গে কথা বলেন ও সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিতে উন্নয়নের ওপর জোর দেন। এই কাজে সরকারের সব মন্ত্রককে এগিয়ে আসার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর ৭ এপ্রিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভাল্লা সব মন্ত্রকের কাছেই চিঠি পাঠান যাতে নেপাল, বাংলাদেশ, চিন, পাকিস্তান, মায়ানমারের সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিতে উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের পাঠানো হয়। ওই সব আধিকারিকরা গ্রামীণ এলাকা ঘুরে দেখে তাঁদের প্রস্তাব দেবেন। সেই প্রস্তাব মতোই অর্থনৈতিক ও পরিকাঠামোগত উন্নয়ন কীভাবে করা যায়, সরকার তা খতিয়ে দেখবে।
একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিতে এনসিসি স্কুল আরও বেশি করে তৈরি করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ মতোই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক নির্দেশ দিয়েছে, প্রতি মাসের ১০ তারিখে যাতে ওই এলাকায় নিযুক্ত উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের দেও্য়া রিপোর্ট ডিপার্টমেন্ট অফ বর্ডার ম্যানেজমেন্টে জমা দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, কেন্দ্রের তরফে সীমান্তবর্তী গ্রামগুলির উন্নয়নের সিদ্ধান্ত এমন একটা সময়ে নেওয়া হল যখন চিন তার সীমান্তবর্তী এলাকায় ৩,৪৮৮ কিলোমিটার জুড়ে উন্নয়নের কাজ শুরু করেছে।