পুরনো স্কুলেই ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। লালকেল্লা থেকে টেলিপ্রম্পটার সরিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যেটাতে তিনি ইদানিং অভ্যস্ত হযে উঠেছিলেন। আর ফিরলেন কাগজে লেখা নোটে। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর যা করতে দেখা যায়নি তাঁকে। সেখানে আজ, সোমবার নয়াদিল্লির লালকেল্লা থেকে প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীর উদ্দেশে ভাষণে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন মহাত্মা গান্ধী থেকে নেতাজি, ভগৎ সিং, নেহরু, সাভারকরকেও।
ঠিক কী করলেন প্রধানমন্ত্রী? এদিন টেলিপ্রম্পটারকে পাশে সরিয়ে দিয়ে নিজস্ব ভঙ্গিতে দেশবাসীর উদ্দেশে ভাষণ দিলেন। আজাদি কা অমৃত মহোৎসবের ব্যানারে দেশজুড়ে স্বাধীনতা দিবস পালন করা হচ্ছে। আর ঐতিহ্যশালী তিরঙ্গা পাগড়ী পরে রাখলেন বক্তব্য। এই নিয়ে নবমবার লালকেল্লা থেকে স্বাধীনতা দিবসের দিন দেশবাসীর উদ্দেশে বক্তৃতা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
আগে কবে এমনভাবে দেখা গিয়েছিল? যেখানে বারবার তিনি নিজেই বলেছেন, ডিজিটাল ইন্ডিয়া করে তুলতে হবে দেশকে সেখানে টেলিপ্রম্পটার সরিয়ে দেওয়ায় চর্চা শুরু হয়েছে। কারণ ৭৬তম স্বাধীনতা দিবসে নরেন্দ্র মোদীকে দেখা গেল কাগজে লেখা নোটে ফিরে যেতে। আগে এভাবে তাঁকে দেখা যেত গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ঠিক পরেই তাঁকে কাগজে লেখা নোট নিয়েই ভাষণ দিতে দেখা গিয়েছিল। তারপর টেলিপ্রম্পটারে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছিলেন তিনি। এবার আবার ফিরলেন পেপার নোটে। যদিও কারণ জানা যায়নি।
ঠিক কী বলেছেন প্রধানমন্ত্রী? আজ দেশবাসীর উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশ কৃতজ্ঞ গান্ধীজি, ভগৎ সিং, রাজগুরু, রামপ্রসাদ বিসমিল, রানি লক্ষ্মীবাই, সুভাষচন্দ্র বসু–সহ সমস্ত স্বাধীনতা সংগ্রামীর কাছে। যাঁরা ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের ভিত কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন। স্বাধীন ভারতের কারিগরদের মধ্যে জওহরলাল নেহরু, রামমনোহর লোহিয়া এবং সর্দার বল্লভভাই প্যাটলকেও আজ কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করছি। বড় চিন্তাবিদ অরবিন্দ, বিবেকানন্দ এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকেও শ্রদ্ধা জানাই।’