গত প্রায় একবছর ধরে লাদাখ সীমান্ত নিয়ে চিনের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়েছে ভারত। এখনও বেরিয়ে আসেনি কোনও সমাধান সূত্র। এদিকে গত কয়েকদিন ধরেই জম্মু ও কাশ্মীরের বিভিন্ন সেনা ঘাঁটি এবং সীমান্তে দেখা যাচ্ছে ড্রোন। এই আবহেও দেশের সীমান্ত সুরক্ষা নিয়ে নিশ্চিন্ত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তাঁর কথায়, প্রধানমন্ত্রী মোদী ভারতকে যে প্রতিরক্ষা নীতি দিয়েছেন, তার ফলে কোনও দেশে ভারতের সীমান্তের দিকে চোখ তুলে তাকাতে পারবে না।
এদিন এবিষয়ে বিএসএফ-এর একটি অনুষ্ঠানে অমিত শাহ বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার আগে পর্যন্ত দেশে কোনও আলাদা প্রতিরক্ষা নীতি ছিল না। তখন বিদেশ নীতি প্রতিরক্ষআ নীতির দিক নির্দেশনা করত বা প্রভআবিত করত। তবে আজকের দিনে পরিস্থিতি বদলেছে। আর এখন ভারতের সীমান্তকে কেউ চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে না।'
এদিন অমিত শাহ বলেন, 'পাকিস্তানের আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এবং রোবোটের প্রয়োগের বিরুদ্ধে প্রস্তুত থাকতে হবে। বর্তমানে পাক জঙ্গি এসব প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। এটা শুধুমাত্র ড্রোনের ব্যবহারে সীমাবদ্ধ নয়।' এরপর অমিত শাহ আরও বলেন, 'আমি সেসব জওয়ানদের স্যালুট করি যাঁরা এই আত্মবলিদান দিতে প্রস্তুত। এই বীর যোদ্ধাদের আমরা কখনও ভুলতে পারি না। বিএসএফ-এ জন্যে ভারত গর্বের সাথে বিশ্ব মানচিত্রে স্থান করে রয়েছে।'
উল্লেখ্য, ২৬ জুন জম্মুর বায়ুসেনা ঘাঁটিতে বিস্ফোরণের পর, বেশ কয়েকবার রাতের অন্ধকারে জম্মু ও কাশ্মীরের সীমান্তবর্তী এলাকা, এমনকি জনবসতি এলাকাতেও সন্দেহজনক ড্রোনের আনাগোনা হয়েছিল। যার পর থেকে পুলিশ এবং সেনার নজরদারি আরও বাড়ানো হয়েছে। এই আবহে বৃহস্পতিবার ফের একবার সন্দেহজনক ড্রোন দেখা যায় জম্মু ও কাশ্মীরের সাম্বা এবং জম্মুতে। তার আগে বুধবার রাতের অন্ধকারেও জম্মুতে বায়ুসেনার ঘাঁটির কাছে একটি সন্দেহভাজন ড্রোন উড়তে দেখা গিয়েছিল।
প্রসঙ্গত, এতদিন সীমান্তের ওপার থেকে ড্রোনের মাধ্যমে জঙ্গিদের অস্ত্রশস্ত্র এবং অন্যান্য সামগ্রী পাঠানো হতো। কিন্তু, ড্রোনকে এবার সরাসির নাশকতার কাজে ব্যবহার করার বিষয়টি জম্মু ও কাশ্মীরের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছে। এই বিষয়ে প্রস্তুতির কথা বললেও অমিত শাহ মোদীর নীতির উপর ভরসা রেখে জানিয়ে দিলেন, মোটের উপর তিনি ভারতের সীমান্ত সুরক্ষা নিয়ে নিশ্চিন্ত।