করোনাভাইরাসের থাবা পড়ল এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পরিবারেও। কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার পর মৃত্যু হল মোদীর কাকিমা নর্মদাবেন মোদীর (৮০)।
আমদাবাদের সিভিল হাসপাতালে মোদীর কাকিমার চিকিৎসা চলছিল। মঙ্গলবার সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। যিনি নিজের সন্তানদের সঙ্গে আমদাবাদের নিউ রনিপ এলাকায় থাকতেন।দীর্ঘদিন আগেই তাঁর স্বামী জগজীবদাসের মৃত্যু হয়েছিল। যিনি প্রধানমন্ত্রীর বাবা দামোদরদাসের ভাই ছিলেন। সংবাদসংস্থা পিটিআইকে মোদীর ছোটো ভাই প্রহ্লাদ বলেন, ‘করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছিল। সেজন্য দিন দশেক আগে আমাদের কাকিমা নর্মদাবেনকে সিভিল হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছিল।’ সঙ্গে তিনি যোগ করেন, ‘আজ উনি শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন।’
তারইমধ্যে মঙ্গলবার করোনাভাইরাস পরিস্থিতির পর্যালোচনায় উচ্চপর্যায়ের গোষ্ঠীর সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে ছিলেন ক্যাবিনটে সেক্রেটারি রাজীব গৌবা, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভাল্লা-সহ একাধিক উচ্চপদস্থ কর্তারা। বৈঠকে দেশের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো, অক্সিজেন, ওষুধের প্রাপ্যতার বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য জানানো হয় মোদীকে। উচ্চপর্যায়ের গোষ্ঠী জানিয়েছে, গত আট মাসে দেশে তরল মেডিক্যাল অক্সিজেন উৎপাদনের পরিমাণ ক্রমশ বেড়েছে। কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর অগস্টে দেশে দৈনিক ৫,৭০০ মেট্রিক টন তরল মেডিক্যাল অক্সিজেন উৎপাদিত হত। চলতি বছরের ২৫ এপ্রিল তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮,৯২২ মেট্রিক টন। চলতি মাসের শেষের মধ্যে উৎপাদন ক্ষমতা ৯,২৫০ মেট্রিক টন করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে রাজ্যগুলিকে অক্সিজেন প্ল্যান্ট তৈরির জন্যও উৎসাহ প্রদান করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে উচ্চপর্যায়ের গোষ্ঠী।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তরফে জানানো হয়, কেন্দ্রের কমিটি মোদীকে জানিয়েছে যে বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে দেশে সাধারণ এবং আইসিইউ শয্যা প্রাপ্যতা বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। জোর দেওয়া হচ্ছে করোনার সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙার উপরও। পাশাপাশি দেশের সর্বত্র করোনা সুরক্ষাবিধি কার্যকরের নির্দেশ দিয়েছেন মোদী।