বুধবার পঞ্জাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নিরাপত্তা লঙ্ঘিত হওয়া নিয়ে বিজেপি এবং কংগ্রেসের মধ্যে কথার লড়াই শুরু হয়েছে। এই আবহে ওডিশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক বৃহস্পতিবার বলেন যে দেশের প্রধানমন্ত্রী একটি প্রতিষ্ঠান। এই হিসাবে প্রতিটি সরকারের কর্তব্য তাঁকে নিরবিচ্ছিন্ন নিরাপত্তা প্রদান করা এবং তাঁর মর্যাদা রক্ষা।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৯ সালে ভুবনেশ্বরে প্রধানমন্ত্রীর রোড-শো-এর সময় রাস্তার দুই ধারের আলো নিভে গিয়ে এক গুরুতর পরিস্থিতি উপনীত হয়েছিল। যদিও সেই সময় বিজেপির তরফে নিরাপত্তায় গাফলতির অভিযোগ তোলা হয়নি। যদিও অভিযোগ করা হয়েছিল, বিজু জনতা জল সরকার এই কাজ ইচ্ছে করে করেছে যাতে এই নির্বাচনী প্রচারসভা ফ্লপ করে। তবে পঞ্জাবের ক্ষেত্রে বিজেপি সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় গাফিলতির অভিযোগ তোলে।
যদিও ফিরোজপুর কাণ্ডে কংগ্রেসের পাল্টা দাবি ছিল, প্রধানমন্ত্রীর সভায় জনসমাগমম না হওয়ায় এই সভা বাতিল করা হয়। আর এর জন্য নিরাপত্তায় গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। যদিও গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, পঞ্জাব পুলিশের সঙ্গে বারংবার যোগাযোগের চেষ্টা করে মোদীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এসপিজি আধিকারিকরা। তবে পঞ্জাব পুলিশ কোনও জবাব দেয়নি। এই আবহে মাঝ রাস্তায় প্রধানমন্ত্রীর কনভয় দাঁড়িয়েছিল ১৫-২০ মিনিট। বিজেপির অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রীর উপর হামলার ছক কষা হয়েছিল।
এইসব অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগের মাঝেই নিরাপত্তা বিষয়ক ক্যাবিনেটের সদস্যরা মিলিত হয় বৃহস্পতিবার। প্রসঙ্গত, এই কমিটির প্রধান নরেন্দ্র মোদী স্বয়ং। এরপরই পঞ্জাবে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় গাফলতির বিষয়টি খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটির নেতৃত্বে আছেন ক্যাবিনেট সচিব (সুরক্ষা) সুধীর কুমার সাক্সেনা। কমিটিতে আরও আছেন কমিটিতে আছেন ইন্টেলিজেন্সে ব্যুরো (আইবি) যুগ্ম অধিকর্তা বলবীর সিং এবং স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপের (এসপিজি) আইজি এস সুরেশ। দ্রুত কমিটিকে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। এদিকে ঘটনায় ইতিমধ্যে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে পঞ্জাব সরকারও।