পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় চিনের আগ্রাসন প্রসঙ্গে রাহুল গান্ধী বার বারই সুর চড়িয়েছিলেন। এবার সেই ইস্যুতে পালটা সুর চড়ালেন ভারতের বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।মঙ্গলবার তিনি জানিয়েছেন, কংগ্রেসের নেতা নয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় সেনা পাঠিয়েছিলেন। চিন যখন সেনা মোতায়েন করেছিল তখন পালটা ভারতও সেনা মোতায়েন করেছিল সীমান্তে। ১৯৬২ সালে কী হয়েছিল সেটা বিরোধীরা মনে করে দেখুন।
সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, সীমান্তের পরিকাঠামো বৃদ্ধির জন্য় মোদী সরকারই বাজেট বৃদ্ধিরও উদ্যোগ নিয়েছেন।
এদিকে গত বছরে প্যাংগং লেকের উপর ব্রিজ তৈরি নিয়ে চিন উদ্যোগ নিয়েছিল। এনিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনায় মুখর হয়েছিল কংগ্রেস। এনিয়ে এবার বিদেশমন্ত্রী জানিয়েছেন, সেই ১৯৬২ সালের যুদ্ধ থেকেই ওই জায়গাটি চিন জোর করে দখল করে রেখেছে।
কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে বিদেশমন্ত্রী জানিয়েছেন, আসলে 'C' দিয়ে কোনও শব্দ শুরু হলে তাতে মনে হয় আপত্তি হয় কংগ্রেসের।
তিনি বলেন,কখন ওই জায়গাটি চিনের নিয়ন্ত্রণে এল? তাদের মনে হয় সি দিয়ে কোনও শব্দ হলে সেটা বুঝতে একটু সমস্যা হয়। আমার মনে হচ্ছে তারা বার বার বিষয়টির অপব্যাখ্যা করে। চিনারা প্রথমে এই জায়গায় এসেছিল ১৯৫৮ সালে। এরপর ৬২ সালের অক্টোবর মাসে তারা সেই জায়গাটি দখল করে। আর এখন ২০২৩ সালে আপনি মোদী সরকারকে ব্রিজ নিয়ে দুষছেন। ওই জায়গাটি ৬২ সালেই দখল করেছিল ওরা। এখন আপানাদের সেটা স্বীকার করার মতো সততাও নেই।
তিনি বলেন, রাজীব গান্ধী ১৯৮৮ সালে বেজিং গিয়েছিলেন। ১৯৯৩ ও ১৯৯৬ সালে তিনি চুক্তি সই করেন। আমি এটা মনে করছি না যে সেই চুক্তি ভুল ছিল। এটা কোনও রাজনৈতিক দিক নয়। সেই সময় সীমান্তে স্থিতাবস্থা আনার জন্য় এটা করা হয়েছিল।
তিনি বলেন, এই চিনের ব্যাপারটা সেটা এককথায় কী দাঁড়াচ্ছে। বলা হচ্ছে ভারত নাকি ডিফেন্সিভ। কে সীমান্তে সেনা পাঠিয়েছিলেন? রাহুল গান্ধী পাঠাননি। সীমান্তে সেনা পাঠিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রচুর ব্য়য় করে আমরা সেখানে সেনা মোতায়েন রাখি। আমরা সীমান্তে প্রতিরক্ষায় ব্যয় বরাদ্দ আরও বৃ্দ্ধি করেছি বাজেটে।
এদিকে বিদেশনীতি নিয়ে বিদেশমন্ত্রীর সেভাবে জ্ঞান নেই, রাহুলের এই ইঙ্গিত প্রসঙ্গে বিদেশমন্ত্রী বলেন, যদি তাঁর চিন নিয়ে অগাধ জ্ঞান থাকে তবে আমি শুনতে চাই।