দিল্লির দ্বারকা গ্রাউন্ডে দশেরা উৎসবে যোগ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে তিনি দশ শপথের কথা উল্লেখ করেছেন। তার মধ্যে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, অন্তত একটি গরিব পরিবারের মুখে হাসি ফোটানোর কথা উল্লেখ করেছেন তিনি। বিষয়টি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। সেই সঙ্গেই তিনি ভারতের আধ্য়াত্মিক ক্ষেত্রে পাশাপাশি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে ভারত কীভাবে এগিয়ে যাচ্ছে সেকথা উল্লেখ করেন তিনি।
এদিন রামচন্দ্র কি জয় বলে ভাষণ শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান স্থানীয়রা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশবাসীকে নবরাত্রি ও বিজয়া দশমীর শুভেচ্ছা জানান। নাম না করে তিনি ইন্ডিয়া জোটকেও একহাত নেন। তিনি জানিয়েছেন, রাবণ দহন শুধু একটা কুশপুতুল দাহ করার অনুষ্ঠান নয়, মা ভারতীকে যারা জাতপাত, আঞ্চলিকতার নাম করে ভাগ করার চেষ্টা করছে তাদের সম্পর্কে এই বিষয়টি।
এই আঞ্চলিকতা ও জাতপাতের ভেদাভেদের অবসান হোক, চান মোদী।
ঠিক কোন দশটি শপথের উপর মোদী ফোকাস করলেন সেটা জেনে নিন।
রাবণ দহন শুধু একটা কুশপুতুল দাহ করার অনুষ্ঠান নয়, মা ভারতীকে যারা জাতপাত, আঞ্চলিকতার নাম করে ভাগ করার চেষ্টা করছে তাদের সম্পর্কে এই বিষয়টি। জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
দীর্ঘ প্রতিক্ষার পরে আমরা রামমন্দির তৈরি হচ্ছে এটা দেখতে পাচ্ছি। এটা আমাদের ধৈর্যের জয়। বললেন প্রধানমন্ত্রী।
দশেরা হল অশুভর বিরুদ্ধে শুভর জয়। উল্লেখ করলেন প্রধানমন্ত্রী।
আমরা রামচন্দ্রের মর্যাদা জানি। আমরা গীতা সম্পর্কে জানি। আবার আইএনএস বিক্রান্ত ও তেজস আমরাই তৈরি করি।
দশটি শপথের কথা উল্লেখ করেন মোদী। সেগুলি হল, জল সংরক্ষণ, ডিজিটাল বিনিময়কে উৎসাহ দেওয়া, চারপাশ পরিচ্ছন্ন রাখা, ভারতের তৈরি জিনিস ব্যবহার করা নিয়ে আওয়াজ তোলা, ভালো মানের কাজ করা, আগে ভারত তারপর বিদেশে ভ্রমণ, জৈব চাষে গুরুত্ব, রোজকার খাবারে মিলেট, যোগাভ্যাস করা, গরিব পরিবারকে এগিয়ে যেতে সহায়তা করা।