আজ সাংহাই কো-অপারেশনের শীর্ষ সম্মেলন আয়োজন করল ভারত। অবশ্য ভার্চুয়ালি এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ থেকে শুরু করে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এই সভায় উপস্থিত ছিলেন। এই আবহে নাম না করেই পাকিস্তান ও চিনকে আজ সন্ত্রাসবাদ নিয়ে খোঁচা দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। আজকের সভায় নরেন্দ্র মোদী বলেন, 'আমরা এসসিওকে একটি বর্ধিত প্রতিবেশী হিসেবে দেখি না, বরং একটি বর্ধিত পরিবার হিসেবে দেখি। নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, সংযোগ, ঐক্য, সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি শ্রদ্ধা এবং পরিবেশ সুরক্ষার মতো ইস্যুগুলিকে এসসিওর স্তম্ভ হিসেবে দেখি।' এদিকে মোদী আজ বলেন, 'যে দেশ সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করে, এসসিও যেন তাদের সমালোচনা করতে দ্বিধায় না পড়ে।'
প্রসঙ্গত, মুম্বই হামলার সঙ্গে যুক্ত লস্কর জঙ্গি সাজিদ মীরকে 'বিশ্ব জঙ্গি' তালিকাভুক্ত করতে চেয়ে আমেরিকার সঙ্গে রাষ্ট্রসংঘে সম্প্রতি একটি প্রস্তাব পেশ করেছিল ভারত। তবে সেই প্রস্তাব ব্লক করেছিল চিন। এই নিয়ে রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চে চিনের সমালোচনা করেছিল ভারত। স্পষ্ট ভাষায় ভারত বলেছিল, ‘জঙ্গিদের কোনও ভালো বা মন্দ হয় না।’ এদিকে শুধু সাজিদ মীর বলে নয়, পাক জঙ্গিদের বরাবরই আড়াল করে এসেছে চিন। ইসলামাবাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব রক্ষার্থে অনৈতিক ভাবে সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করে আসছে বেজিং। এই আবহে আজ কড়া বার্তা দিলেন মোদী। প্রধানমন্ত্রী আজ বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদ আঞ্চলিক ও বিশ্ব শান্তির জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটি মোকাবিলা করার জন্য কড়া পদক্ষেপের প্রয়োজন রয়েছে। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে, সন্ত্রাসবাদ যেকোনও আকারে প্রকাশ হতে পারে।’
এদিকে মোদী আজ আরও বলেন, 'এসসিও দেশগুলির তরুণদের প্রতিভাকে কাজে লাগানোর জন্য, বেশ কয়েকটি নতুন প্ল্যাটফর্মের আয়োজম করা হয়েছে। ইয়াং সায়েন্টিস্ট কনক্লেভ, লেখকদের জন্য কনক্লেভ, স্টার্টআপ ফোরাম এবং ইউথ কাউন্সিলের আয়োজন করা হয়েছে। এই প্ল্যাটফর্মগুলির লক্ষ্য এসসিও-র তরুণদের সম্ভাবনাকে ভালো পথ দেখিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং তাদের অর্থপূর্ণ সুযোগ প্রদান করা।'
এদিকে মোদীর কথায়, 'ভারত এসসিও দেশগুলির মধ্যে সহযোগিতার পাঁচটি স্তম্ভ স্থাপন করেছে: স্টার্টআপ এবং উদ্ভাবন, প্রথাগত ওষুধ, যুব ক্ষমতায়ন, ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি এবং বৌদ্ধ ঐতিহ্য। গত দুই দশকে এসসিও সমগ্র ইউরেশিয়া অঞ্চলে শান্তি, সমৃদ্ধি এবং উন্নয়নের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। এই অঞ্চলের সাথে ভারতের হাজার বছরের পুরনো সাংস্কৃতিক রয়েছে। এবং আমাদের দেশের মানুষ এই ঐতিহ্যের জীবন্ত সাক্ষ্য।'