অপরাধীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল বাংলা। একথা তুলে বার বার খোঁচা দেন বিরোধীরা। এবার সেই কলকাতা থেকেই গ্রেফতার করা হল বিহারের এক কুখ্যাত গ্য়াংস্টারকে। তপসিয়ার ফ্ল্যাট থেকে কলকাতা পুলিশের সহযোগিতায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার কাছ থেকে ১০ লক্ষ টাকা ও একটি মোবাইল পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে। কুখ্যাত ওই গ্যাংস্টারের নাম রোহিত যাদব। বিহারের রাজনগরে গুলি করে খুনের অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে। মাথার দাম ছিল ৫০ হাজার টাকা।
সেই দুষ্কৃতীই ব্যবসায়ী সেজে গা ঢাকা দিয়েছিল কলকাতায়। মাস ছয়েক ধরে সে কলকাতায় ডেরা নিয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এখান থেকেই সে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ খবর করা শুরু করেছিল। যোগাযোগ রাখত আত্মীয়দের সঙ্গে। কার্যত রসেবশেই ছিল কলকাতায়। কিন্তু সেই ফূর্তি বেশি দিন হল না।
এদিকে তাকে ধরতে হন্য়ে হয়ে খুঁজছিল পুলিশ। পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে সে কলকাতায় ডেরা নিয়েছিল। এমনকী ফোনের সিমও বদলে ফেলেছিল। নিজেকে ব্যবসায়ী বলে পরিচয় দিত। একটি বহুতলে সে ভাড়া থাকত। মাস ছয়েক আগে সে দীপক যাদব নামে এক আমিনকে খুন করে বলে অভিযোগ। জমি জমা সংক্রান্ত মাপামাপির কাজে যুক্ত ছিলেন ওই আমিন। তাকে পরপর ৬টি গুলি চালিয়ে খুন করা হয়েছিল বলে অভিযোগ।
এদিকে রোহিত তার আত্মীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত। পুলিশও ওই আত্মীয়দের উপর নজরদারি করছিল। তখনই জানা যায় সে কলকাতায় ডেরা নিয়েছে। তারপরই শুরু হয় তল্লাশি। মধুবনীতে রোহিতের বিরুদ্ধে আগেও খুনের অভিযোগ উঠেছিল। এবার সে জমি সংক্রান্ত বিবাদের জেরে এক আমিনকে খুন করেছিল বলে অভিযোগ। রোহিত যাদব নিজেই ৬ রাউন্ড গুলি চালিয়ে দীপককে খুন করেছিল বলে অভিযোগ।
এদিকে ঘটনার পর থেকেই রোহিতের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছিলেন বাসিন্দারা। এরপর গা ঢাকা দেয় রোহিত। তার খোঁজে শুরু হয় তল্লাশি। ততদিন বিপুল টাকা নিয়ে কলকাতায় জমিয়ে বসেছিল রোহিত। কিন্তু তার খোঁজ পেয়ে যায় পুলিশ। এরপর বিহার এসটিএফ, বিহারের একাধিক থানার পুলিশ ও তপসিয়া থানার গোয়েন্দারা ওই ফ্ল্য়াটকে ঘিরে ফেলে। তারপরই শুরু হয় অভিযান। তখনই রোহিতকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাকে জেরা করা হচ্ছে। সেই খুনের ঘটনায় আর কারা যুক্ত ছিল সেটা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।