বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > Molestation in missionary school: মিশনারি স্কুলে আদিবাসী ছাত্রীদের যৌন নির্যাতন, গ্রেফতার অধ্যক্ষ, পলাতক ৩

Molestation in missionary school: মিশনারি স্কুলে আদিবাসী ছাত্রীদের যৌন নির্যাতন, গ্রেফতার অধ্যক্ষ, পলাতক ৩

মিশনারি স্কুলে আদিবাসী ছাত্রীদের যৌন নির্যাতনের অভিযোগ। প্রতীকী ছবি

মিশনারি স্কুলের নাবালিকাদের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে শিশু সুরক্ষা কমিশনের সদস্য অনুরাগ পাণ্ডে এবং ওমকার সিং শুক্রবার পুলিশের সঙ্গে হানা দেন। সেখানে নাবালিকা ছাত্রীরা যৌন নির্যাতনের অভিযোগ জানান। শুক্রবার সন্ধ্যায় ৮ জন নাবালিকা ছাত্রীকে জেলা সদরের ওয়ান স্টপ সেন্টারে নিয়ে আসা হয়।

মধ্যপ্রদেশের একটি মিশনারি স্কুলে আদিবাসী নাবালিকাদের যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠল। এই অভিযোগ উঠেছে স্কুলের অধ্যক্ষ-সহ চার শিক্ষকের বিরুদ্ধে। অভিযোগ পাওয়ার পরে পুলিশ অধ্যক্ষকে গ্রেফতার করেছে। ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের ডিন্ডোরি জেলার অমরপুর ব্লকের জুনওয়ানি গ্রামের। ঘটনায় অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরে ৩ শিক্ষক পলাতক রয়েছে। তাদের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। শিশু সুরক্ষা কমিশনের সদস্যদের দল তদন্ত করতে গিয়ে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। পুলিশ চার অভিযুক্তের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতন, শ্লীলতাহানি এবং পকসো আইন-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত অধ্যক্ষ নান সিং যাদবকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

জানা গিয়েছে, ওই মিশনারি স্কুলের নাবালিকাদের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে শিশু সুরক্ষা কমিশনের সদস্য অনুরাগ পাণ্ডে এবং ওমকার সিং শুক্রবার পুলিশের সঙ্গে হানা দেন। সেখানে নাবালিকা ছাত্রীরা যৌন নির্যাতনের অভিযোগ জানান। শুক্রবার সন্ধ্যায় ৮ জন নাবালিকা ছাত্রীকে জেলা সদরের ওয়ান স্টপ সেন্টারে নিয়ে আসা হয়। শনিবার সকাল থেকে গভীর সন্ধ্যা পর্যন্ত মহিলা থানায় দফায় দফায় জবানবন্দি রেকর্ড করা হয় তাদের। সন্ধ্যার পর পুলিশ স্কুলের ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে।

জানা গিয়েছে, ছাত্রীরা স্কুলে অবস্থিত হস্টেলে থাকত। বিদ্যালয়টিতে ৬০০ আদিবাসী নাবালিকা পড়াশোনা করে। বিচারকের সামনে নির্যাতিতা ছাত্রীদের জবানবন্দিও রেকর্ড করা হয়েছে। ডিন্ডোরির পুলিশ সুপার সঞ্জয় সিং বলেছেন যে নাবালিকা ছাত্রীদের অভিযোগের ভিত্তিতে, স্কুলের অধ্যক্ষসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। একজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তিনজনের খোঁজ চলছে। বাকিদের দ্রুত গ্রেফতার করা হবে।

জানা গিয়েছে, স্কুলটি অবৈধভাবে চলছিল। জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান প্রিয়াঙ্কা কানুনগো টুইট করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান। এনিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বিধায়ক ওমকার শিং মারকাম। অভিযোগ পাওয়ার পর বিধায়কও স্কুলটি পরিদর্শন করেন। বিধায়ক জানান, জুনওয়ানিতে একটি মিশনারি স্কুল চলছে। সেখান থেকে শিশুদের সঙ্গে অশালীন আচরণের অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। জেলা প্রশাসন পুলিশ এবং শিক্ষা দফতরের আধিকারিকরা স্কুলটি পরিদর্শন করেছেন। শিশু কল্যাণ কমিটির সভাপতি ধন্যা কুমারী এনিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। 

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup

বন্ধ করুন