বেঙ্গালুরুর রামেশ্বরম ক্যাফেতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের জেরে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কীভাবে হল এই বিস্ফোরণ? এবার এনিয়ে মুখ খুললেন কর্ণাটকের মুখ্য়মন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়া। তিনি জানিয়েছেন, পুলিশ সন্দেহ করছে এর পেছনে আইইডি থাকতে পারে। তিনি জানিয়েছেন, একজন একটা ছোট ব্যাগ নিয়ে এসেছিল। সে কে সেটা আমরা জানি না। সে ক্য়াশিয়ারের কাছে যায়। এরপর সে খাবার নেয়। আমরা ক্যাশিয়ারের সঙ্গে বিস্তারিত কথা বলছি। তবে এই ঘটনাকে রাজনীতির রঙ না দেওয়ার জন্য় তিনি অনুরোধ করেছেন।
উপমুখ্য়মন্ত্রী ডিকে শিবকুমার জানিয়েছেন, সাধারণ মানুষের উদ্বিগ্ন হওয়ার দরকার নেই। আমরা দেখছি বিষয়টি। তিনি জানিয়েছেন, তদন্ত চলছে। এটার পেছনে কোনও ব্যবসায়ীর শত্রুতা রয়েছে নাকি অন্য় কোনও ব্যাপার রয়েছে সেটা দেখা হচ্ছে।
তিনি জানিয়েছেন, রামেশ্বরক ক্যাফে থেকে ২ কিমি দূরে সিসি ক্য়ামেরা রয়েছে। তার ফুটেজ দেখা হচ্ছে। কারোর উদ্বেগের ব্যাপার নেই। কিছু মানুষ শান্তি বিঘ্ন করার চেষ্টা করছেন।
এদিকে প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, বিস্ফোরণের সময় ৩৫-৪০ জন ছিলেন ওই ক্য়াফেতে। ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছিল চারদিক।
এদিকে রামেশ্বরম ক্যাফের এমডি দিব্যা রাঘবেন্দ্র রাও মিডিয়াকে জানিয়েছেন, চারজন জখম হয়েছেন। তার মধ্য়ে তিনজন স্টাফ ও একজন ক্রেতা রয়েছেন। একটা ব্যাগ থেকে বিস্ফোরণ হয়েছে। সিলিন্ডার বিস্ফোরণের কোনও ব্যাপার নেই। এখানে সিলিন্ডার থাকেই না। ওখানে খালি ডাস্টবিন আর হ্যান্ডওয়াশ ছিল।
এদিকে বিজেপির এমপি তেজস্বী সূর্য্য এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, রামেশ্বরম ক্যাফের মালিকের সঙ্গে কথা বললাম। একটা ব্য়াগ ফেলে গিয়েছিলেন এক ক্রেতা। সেখানেই বিস্ফোরণ। এটা বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা। বেঙ্গালুরু এনিয়ে মুখ্য়মন্ত্রীর জবাব চান।
প্রাথমিক রিপোর্টে জানা গিয়েছে, একটি ব্যাগ রাখা ছিল বেঙ্গালুুরুর ওই ক্যাফেতে। সেখানেই প্রাথমিকভাবে বিস্ফোরণ হয় বলে খবর। এরপর সেখান থেকে ধোঁয়া বের হতে থাকে। পুলিশ জানিয়েছে ফরেনসিক টিম দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়। দমকলও ঘটনাস্থলে যায়। গোটা এলাকা ঘিরে ফেলা হয়। ফরেনসিক টিম এলাকা থেকে নমুনা সংগ্রহের কাজ করছে। কিন্তু ঠিক কী ধরনের সামগ্রী সেখানে ছিল সেটা দেখা হচ্ছে। কে বা কারা এই ধরনের জিনিস ওখানে রেখেছিল সেটা দেখা হচ্ছে। এদিকে বিস্ফোরণের প্রকৃত কারণ জানা যায়নি। তবে সবটাই পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। তবে পরীক্ষার পরেই আসল ঘটনা জানা যাবে।