আমাদের বেলাতেই এত নিয়ম কেন? সরাসরি মেটা কর্তাদের কাছে প্রশ্ন তুলল পর্নহাব। বিশ্বের বৃহত্তম পর্ন ওয়েবসাইটের দাবি, সোশ্যাল মিডিয়া সাইটের নীতি ভঙ্গ না করলেও ব্যান করে দেওয়া হচ্ছে পর্নস্টারদের অ্যাকাউন্ট। ইনস্টাগ্রামে তাঁদের বিরুদ্ধে দ্বিচারিতামূলক আচরণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ।
এ বিষয়ে সরাসরি ইনস্টাগ্রাম তথা মেটার কর্তা মার্ক জুকারবার্গ, অ্যাডাম মসেরি এবং জেনিফার নিউজটেডের উদ্দেশে খোলা চিঠি দিয়েছে পর্নহাব। সেই চিঠিতে ভুক্তভোগী প্রাপ্তবয়স্ক পারফর্মারদের হয়ে মুখ খুলেছেন তাঁরা। চিঠিতে নাম রয়েছে একাধিক পর্নহাব প্রযোজক। আরও পড়ুন : পর্ন সাইটে অঙ্ক ক্লাসের ভিডিয়ো আপলোড শিক্ষকের! ভিউ এল ফাটিয়ে
ইনস্টাগ্রামের নগ্নতা, যৌনতার নীতি নিয়ে ধোঁয়াশার অভিযোগ করেন অনেকেই। এদিকে এই ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করেই পর্ন, ওনলিফ্যানসের জনপ্রিয়তা বাড়ান অনেক যৌনকর্মী। কিন্তু তাঁদের অভিযোগ, বিনা কারণে নীতি ভঙ্গ না করলেও ব্যান করে দেওয়া হচ্ছে তাদের অ্যাকাউন্ট। সেই অ্যাকাউন্ট পুনরূদ্ধার করাও যাচ্ছে না। প্রায় তিন সপ্তাহ আগে পর্নহাবের অফিসিয়াল ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টও হঠাত্ই ডিলিট হয়ে যায়। আর সেই প্রক্ষিতেই এই খোলা চিঠি।
দ্বিচারিতা
চিঠিতে বলা হয়েছে, যৌনতার মাধ্যমে রোজগার করা সাধারণ পর্নকর্মীদের বিরুদ্ধে ইনস্টাগ্রামের যত নিয়মকানুন। এদিকে বড় বড় অ্যাকাউন্ট, সেলেব্রিটিরা প্রায়শই নগ্নতা, যৌন উত্তেজনামূলক কনটেন্ট পোস্ট করছেন। তাঁদের বেলায় ইনস্টাগ্রামের কোনও পদক্ষেপ নেই।
উদাহরণস্বরূপ কিম কার্দেশিয়ানের কথা উল্লেখ করা হয়েছে এই চিঠিতে। সেখানে বলা হয়েছে, ৩৩ কোটি ফলোয়ার্স থাকা কিম কার্দেশিয়ান অনেক বেশি যৌন উত্তেজক, নগ্ন ছবি পোস্ট করলেও তাতে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। সেটি এখনও লাইক, কমেন্ট পেয়ে চলেছে। 'আমরা এটা দেখে খুশি যে কিম ও তাঁর সৃজনশীল টিম তাঁদের কাজ স্বাধীনভাবে শেয়ার করতে পারছেন। কিন্তু আমাদের বেলায় নিয়মটা অন্য হয়ে যাচ্ছে। আমাদের বেলাতেই বিধিনিষেধ কড়াকড়ি যেন অনেক বেশি।'
অবিলম্বে ইনস্টাগ্রামের এই ব্যবহার সংশোধন করার আর্জি জানিয়েছে পর্নহাব। স্পষ্টভাবে সমস্ত নিয়ম, নীতি তুলে ধরার কথা বলা হয়েছে। অ্যাকাউন্ট ব্যান হওয়ার ক্ষেত্রে যাতে তার আগে সতর্ক করা হয়, এবং হঠাত্ 'শ্যাডো ব্যান' না করা হয়, সেই বিষয়ে অনুরোধ করেছে পর্নহাব।