কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরীর সাসপেনশন তুলে নেওয়ার জন্য স্পিকারের কাছে সুপারিশ করেছিল অধিকার রক্ষা কমিটি। সোমবার লোকসভায় রিপোর্ট জমা দিয়ে অধিকার রক্ষা কমিটির তরফে এ কথা জানানো হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, নিজের ভুলের জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছিলেন অধীর চৌধুরী। সেই কারণে তাঁর বিরুদ্ধে আর কোনও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ না করে সাসপেনশন তুলে দেওয়ার সুপারিশ করেছিল কমিটি।
আরও পড়ুন: ভোটের আগেই 'হার' INDIA জোটের! মোদীকে আক্রমণের পরে সাসপেন্ড অধীর
গত ১০ অগস্ট সংসদের বাদল অধিবেশনে মণিপুর নিয়ে অনাস্থা প্রস্তাবের আলোচনার শেষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নজিরবিহীনভাবে আক্রমণ করেছিলেন অধীর। প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে অসংসদীয় শব্দ ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছিল অধীরের বিরুদ্ধে। এরপরে অধীরের সাসপেনশনের জন্য সরকার পক্ষ একটি প্রস্তাব উত্থাপন করে। তাতে দাবি করা হয়, যখনই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং মন্ত্রীরা কথা বলেন তখনই তিনি হাউসকে বিরক্ত করেন। এরপরে ধ্বনি ভোটেই প্রস্তাবটি পাস হয়। পক্ষ তারপরে বিষয়টি পাঠানো হয় অধিকার রক্ষা কমিটির কাছে। তাতে বলা হয় যতদিন না পর্যন্ত অধিকার রক্ষা কমিটি সিদ্ধান্ত নিচ্ছে ততদিন পর্যন্ত অধীর সাসপেন্ড থাকবেন। এরপর অধিকার রক্ষা কমিটি ১৮ এবং ৩০ অগস্ট বৈঠকে বসে। গত ৩০ অগস্ট অধিকার রক্ষা কমিটির সামনে হাজির হয়েছিলেন অধীর চৌধুরী।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যর সময় অধীর চৌধুরী যে বাধা দিয়েছিলেন তার জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, ইচ্ছাকৃতভাবে কোনও সাংসদের ভাবাবেগে আঘাত দেওয়ার উদ্দেশ্য ছিল না। স্পিকার সাংসদদের অভিভাবক। তিনি তার ক্ষমতা বলে অসংসদীয় শব্দ বাদ দিতে পারেন। কমিটির রিপোর্টে বলা হয়েছে, অধিকার রক্ষা কমিটির প্রথা হল, আন্তরিকভাবে কেউ দুঃখপ্রকাশ করলে বা ক্ষমা চাইলে সে ক্ষেত্রে বিষয়টি খতিয়ে দেখা। অধীর চৌধুরী দুঃখপ্রকাশ করে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন তিনি অন্য কোনও সাংসদের ভাবাবেগে আঘাত করতে চাননি। তার ভিত্তিতে অধীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে আর শাস্তিমুলক ব্যবস্থা গ্রহণ না করে সাসপেনশন প্রত্যাহারের সুপারিশ জানায় অধিকার রক্ষা কমিটি। রিপোর্টে বলা হয়, যে কদিন অধীর সাসপেন্ড ছিলেন সেই কয়দিনই যথেষ্ট ছিল। উল্লেখ্য, অধিকার রক্ষা কমিটি ৩০ অগস্ট অধীরের সাসপেনশন তুলে দেওয়ার সুপারিশ করেছিল। ওই দিনই স্পিকার ওম বিড়লা অধীর চৌধুরীর সাসপেনশন প্রত্যাহার করেছিলেন।