কুরবানি ছাড়া ঈদ পালন অসম্ভব। কুরবানির কোনও বিকল্প হতে পারে না। রবিবার ঈদ উপলক্ষে কুরবানি নি ফতোয়া জারি করে এই মন্তব্য করল দেওবন্দের ইসলামিক প্রতিষ্ঠান দারুল উলুম।
আগামী ১ অগস্ট ঈদ। এ দিন ইসলামিক সংগঠনের তরফে মিডিয়া ইনচার্জ আশরফ উসমানি বলেন, কোবিড পরিস্থিতিতে কুরবানি নিয়ে মানুষের মনে বিভ্রান্তির অবসান ঘটাতেই েই ফতোয়া জারি করা হয়েছে। তিনি বলেন, কেউ কেউ পরামর্শ দিয়েছেন যে, এই অতিমারী পরিস্থিতিতে কুরবানির বদলে রোজগার হারানো দরিদ্রদের অর্থ সাহায্য করা হোক।
উসমানি জানিয়েছেন, ফতোয়ায় ব্যাখ্যা করা হয়েছে যে, একটি ‘ইবাদত’ (প্রার্থনা) অন্য একটি ইবাদত-এর দ্বারা পূরণ করা যায় না। কুরবানির নিজস্ব গুরুত্ব রয়েছে এবং তাকে আর কিছু দিয়েই পূর্ণ করা সম্ভব নয়। সেই সঙ্গে, অতিমারীর আবহে কী ভাবে কুরবানি পালন করা যায়, তা-ও বলা হয়েছে ফতোয়ায়।
ইতিমধ্যে মীরাটে খাসি বিক্রেতাদের উপরে পুলিশি জুলুম নিয়ে ক্ষোভ ছড়াতে শুরু করেছে। পাইকারি খাসি ব্যবসায়ী চৌধুরী ফারুকের অভিযোগ, গ্রাম থেকে শহরের বাজারে পাঁটা-খাসি আনতে বাধা সৃষ্টি করছে পুলিশ। বেশ কয়েক জন খাসি বিক্রেতাকে স্থানীয় কসাইখানার কাছে মারধোর করা হয়েছে বলেও তাঁর অভিযোগ। এমনকি পুলিশের জুলুমে বাজার বন্ধ রাখতে হয়েছে বলেও শোনা যাচ্ছে।
নয়াব শহরের কাজি জইনুর রশিদীন জানিয়েছেন, এসএসপি ও জেলাশাসকের কাছে এই নিয়ে অভিযোগ জানিয়ে ঈদ-এর কুরবানি উপলক্ষে খাসি বিক্রি অনুমোদনের অনুরোধ জানিয়েছে এক প্রতিনিধিদল।
তবে উসমানি জানিয়েছেন, অতিমারীর কারণেই বাজারে খাসি বিক্রির উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আবার ফারুকের দাবি, নিষেধাজ্ঞার জেরে প্রায় ৮০% কমেছে এ বছরের ঈদে খাসির বিক্রি।