Rahul Gandhi: মানহানি মামলায় সুরাট কোর্টে স্বস্তি না পেয়ে রাহুল এবার গুজরাট হাইকোর্টের দ্বারস্থ

দোষী সাব্যস্ত হওয়ার উপর স্থগিতাদেশ জারির আবেদন করে সুরাট কোর্টে সদ্য আবেদন করেন রাহুল। সেই আবেদন খারিজ হয়। এরপর গুজরাট হাইকোর্টে সেই দোষী সাব্যস্ত হওয়ার উপর স্থগিতাদেশ জারি করার আবেদন জানিয়ে রাহুল দ্বারস্ছ হন কোর্টের।

রাহুল গান্ধী। (ANI Photo) (Congress Twitter)

মোদী পদবী নিয়ে তাঁর মন্তব্যের জেরে রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মানহানি মামলা দায়ের হয়েছিল। সেই মামলার প্রেক্ষিতে সুরাট কোর্টে দোষী সাব্যস্ত হন প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। দোষী সাব্যস্ত হওয়ার উপর স্থগিতাদেশ জারির আবেদন করে সুরাট কোর্টে সদ্য আবেদন করেন রাহুল। সেই আবেদন খারিজ হয়। এরপর গুজরাট হাইকোর্টে সেই দোষী সাব্যস্ত হওয়ার উপর স্থগিতাদেশ জারি করার আবেদন জানিয়ে রাহুল দ্বারস্ছ হন কোর্টের।

উল্লেখ্য, যদি রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া ফৌজদারি মানহানি মামলায় তাঁর দোষী সাব্যস্ত হওয়ার উপর স্থগিতাদেস আসে, তাহলে তিনি ফের সাংসদ পদ ফিরে পেতে পারেন। সেই উদ্দেশেই রাহুল দ্বারস্থ হয়েছিলেন সুরাট কোর্টের। সেখান থেকে স্বস্তি না পেয়ে তিনি গুজরাট হাইকোর্টে যান। প্রসঙ্গত, গত মাসে সাংসদ পদ হারান রাহুল। বিধি অনুযায়ী কোনও সাংসদ যদি ২ বছর বা তার বেশি সময় ধরে কারাবাসের সাজা পান, তাহলে তাঁর সাংসদ পদ খারিজ হয়। রাহুলের সাংসদপদ খারিজের পর তাঁকে ছাড়তে হয়েছে সাংসদের অফিশিয়াল বাংলো। দীর্ঘ ১৯ বছর দিল্লির তুঘলক রোডের বাংলোতে থাকার পর সদ্য ২২ এপ্রিল বিধি মেনে তিনি সাংসদের বাংলো ছাড়েন। এদিকে, রাহুলের কেরলের ওয়েনাদ কেন্দ্র তাঁর সাংদপদ ছাড়ার পর ফাঁকা রয়েছে। তবে সেখানে এখনই কোনও উপনির্বাচন আয়োজন করার কথা জানায়নি কমিশন। 

গুজরাট হাইকোর্টে রাহুলের আবেদনের পর তাঁর বিরুদ্ধে চলা ফৌজদারি মানহানি মামলা কোথায় গিয়ে দাঁড়ার বা তাঁর রাজনৈতিক কেরিয়ার কোনপথে যায়, সেদিকে তাকিয়ে গোটা দেশ। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে কর্ণাটকের কোলারে মোদী পদবী নিয়ে একটি মন্তব্য করেন রাহুল। তার প্রেক্ষিতেই এই মামলা। সুরাট কোর্ট নিজের রায়ে এদিন বলে, রাহুল গান্ধী 'প্রমাণ করতে ব্যর্থ হন যে তাঁর দোষী সাব্যস্ত হওয়া স্থগিত না করে এবং নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ অস্বীকার করে, তার একটি অপূরণীয় এবং অপূরণীয় ক্ষতি হবে। '