কথায় আছে, আজ যে রাজা কাল সে ফকির। প্রাক্তন ধনকুবের রাহুল নন্দা। তাঁর এমনই অবস্থা যে ব্যক্তিগত ঘড়িও বেচতে হচ্ছে। ২০২২ সালে তাঁকে দেউলিয়া বলে ঘোষণা করা হয়। গত সপ্তাহে ইংল্যান্ডের একটা কোর্ট জানিয়েছে, রাহুল নন্দার কাছে টাকা পয়সা কিচ্ছু নেই। পরিস্থিতি এমন যে তিনি তাঁর ব্যক্তিগত ঘড়িটাও বেচে দিয়েছেন। টাকা পয়সার জন্য় তিনি রোলেক্স ঘড়িটাও বেচে দিয়েছেন। এতটাই করুণ পরিস্থিতি। খবর মানি কন্ট্রোল সূত্রে।
একটা সময় তিনি ছিলেন ইংল্যান্ডে বসবাসকারী অন্যতম ধনী ভারতীয়। টপসগ্রুপের মালিক ছিলেন তিনি। আর সেই ধনকুবেরের এখন এতটাই খারাপ অবস্থা যে অর্থের জন্য় ব্যক্তিগত ঘড়িও বেচতে হচ্ছে। পঞ্জাব ন্যাশানাল ব্যাঙ্কের বিপুল অঙ্কের অর্থ তিনি লোন নিয়ে তা মেটাননি বলে অভিযোগ। ব্যাঙ্কের দাবি রাহুল সহযোগিতা করছেন না। কোথায় তাঁর সম্পত্তি রয়েছে সেটা জানাতে চাইছেন না। রোজ প্রায় ৩০ লাখ টাকা করে সুদ হচ্ছে তার লোনের উপর।
এদিকে ব্যাঙ্ক ওই ব্যক্তির ব্যাঙ্ক অ্য়াকাউন্ট, তার সম্পত্তি সম্পর্কে জানার নানা চেষ্টা করছেন। তাঁর আয়কর রিটার্ন, তিনি যে সমস্ত জায়গায় শেয়ার বাজারে টাকা রেখেছিলেন সেই সমস্ত জায়গায় খোঁজ চালানো হচ্ছে।
২০১৩ সালে ইংল্যান্ডে থাকা পিএনবির একটি শাখা তাকে ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার লোন দিয়েছিল। ব্যক্তিগত জমানতে তাকে এই বিপুল লোন দেওয়া হয়েছিল বলে খবর।
এদিকে নন্দার তরফ থেকে বলা হয়েছিল তিনি তার মেয়ে ও বউয়ের সাপোর্টে চলেন। তার কোনও আয় নেই। অর্থের জন্য় রোলেক্স ঘড়িও বেচে দিয়েছেন।
এদিকে একটা সময় যে সমস্ত সামগ্রী গর্বের সঙ্গে তার ইমারতে প্রদর্শন করা হত সেগুলির কিছু অংশ বেচে দেওয়া হয়েছে বলে খবর। ২০২২ সালের জুলাই মাসে তিনি দেউলিয়া ঘোষণা করার জন্য আবেদন করেছিলেন। সূত্রের খবর, এবার আদালত তাকে নির্দেশ দিতে পারে পিএনবিএল যে তথ্য় চেয়েছে সেগুলি যেন তিনি দিয়ে দেন।