ভূস্বর্গে তুষারপাত। আর তার বুক চিরেই এগিয়ে যাচ্ছে ট্রেন। এমনই এক দৃশ্যকে সামনে নিয়ে এসেছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে সেই ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন রেলমন্ত্রী। শীতের মরসুমে তুষারপাতের দেখা মেলেনি। তাতে হতাশ হন পর্যটকরা। কিন্তু এবার সেই দুঃখ পুষিয়ে দিয়ে মঙ্গলবার থেকে ভারী তুষারপাত শুরু হয়েছে জম্মু–কাশ্মীরে। এই দৃশ্য ফিরে আসায় পর্যটকরা স্বাভাবিকভাবেই খুশি। ভূস্বর্গের নৈসর্গিক রূপ এবার এভাবেই তুলে ধরলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। বারামুলা–বানিহাল সেক্টরে এই ছবি ধরা পড়েছে।
এদিকে সেই ভিডিয়ো পোস্টের পাশাপাশি এই তথ্যও দিয়েছেন রেলমন্ত্রী। আর ভিডিয়ো পোস্টের সঙ্গে লিখেছেন, ‘কাশ্মীর উপত্যকার পথে তুষারপাত।’ ওই নৈসর্গিক দৃশ্যের ভিডিয়ো দেখতে ইতিমধ্যেই ২ লাখ মানুষ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিড় করেছেন। নেটপাড়ার মানুষরা এই ভিডিয়ো দেখে আনন্দ উপভোগ করেছেন। আর একজন লিখেছেন, ‘রহস্যাবৃত আকর্ষণীয় সৌন্দর্য।’ আর একজন লিখেছেন, ‘সুইৎজারল্যান্ডের ছবি বলে মনে হচ্ছে।’ তৃতীয়জন লিখেছেন, ‘তুষারাবৃত ট্রেনে কাশ্মীর সফর, ভারতের সুইৎজারল্যান্ডে ট্রেন যাত্রা।’ কাশ্মীরের রাস্তাঘাট পুরু বরফের আস্তরণে ঢেকেছে। তাই বারামুলা–বানিহাল রুটের ট্রেনই একমাত্র যাতায়াতের ভরসা হয়ে উঠেছে ভূস্বর্গের বাসিন্দাদের।
অন্যদিকে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব নিজের এক্স হ্যান্ডলে এই ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন। রেলমন্ত্রীর সেই ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, তুষারপাতের জেরে চারপাশ সাদা হয়ে রয়েছে। গাছপালাগুলিও বরফের চাদরে ঢাকা পড়েছে। পুরু বরফের মোটা আস্তরণে ঢাকা পড়েছে রেললাইনও। কিন্তু সেই বরফের বুক চিরে ছুটে আসছে লাল–নীল রঙের একটি ট্রেন। ভিডিয়ো গোটাটাই কাশ্মীর উপত্যকার বারামুলা–বানিহাল সেক্টরের। সেটি পোস্ট করে রেলমন্ত্রী লিখেছেন, ‘কাশ্মীর উপত্যকায় তুষারপাত।’ আর এটাই এখন চেটেপুটে খাচ্ছেন দেশের মানুষজন।
আরও পড়ুন: ‘দিল্লি জয় আমরাই করব’, নদিয়ার সভায় দাবি করার পর নয়াদিল্লি সফরে মুখ্যমন্ত্রী
এছাড়া এখন কঠিন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে কাশ্মীরে। মাইনাস ডিগ্রি চলছে সেখানে। এই আবহে শ্রীনগর এবং সমতলেও তুষারপাত হয়েছে ভারী। বুধবার রাত থেকে দেদার শুরু হয়েছে তুষারপাত। আর তার পরিমাণ বেড়েছে নানা জায়গায়। আজ, বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত টানা তুষারপাত দেখতে পেয়েছেন ভূস্বর্গের মানুষজন থেকে পর্যটকরা। ভারী তুষারপাতের জেরে শ্রীনগর–জম্মু জাতীয় সড়ক বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আর মুঘল রোড, শ্রীনগর–লেহ হাইওয়েও তুষারপাতে ঢেকে গিয়েছে। তার জেরে স্তব্ধ জনজীবন।