শোভাপতি সামম
ইম্ফল-জিরিবাম রেললাইনের প্রায় ১১১ কিমি এলাকা জুড়ে মন জুড়িয়ে দেওয়া প্রাকৃতিক দৃশ্য। এবার সেই এলাকাগুলিতে পর্যটনের প্রসারের ব্যাপারে পরিকল্পনা নিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। ইম্ফল সরকারের সঙ্গে সমণ্বয় রেখেই এব্যাপারে উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার।
ইম্ফলে একটি সাংবাদিক বৈঠকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দর্শনা জারদোশ জানিয়েছেন, পর্যটনকেন্দ্রগুলিকে উন্নত করা হবে। রেলস্টেশন, ব্রিজ, টানেলও যুক্ত হবে তার সঙ্গে। রাজ্য সরকারের সঙ্গে আমরা এনিয়ে আলোচনা করেছি।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন, এই উদ্যোগে রেল ও পর্যটনের মাধ্যমে এলাকার আর্থ সামাজিক ক্ষেত্রে উন্নতির সম্ভাবনা রয়েছে।
নর্থ ইস্ট ফ্রন্টিয়ার রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার অংশুল গুপ্তা সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন, রাণী গইদিনলিউ স্টেশন, তুপুল-ইম্ফল রেল সেকশনে লম্বা টানেল বা লম্বা রেলব্রিজকে ঘিরে দর্শনীয় স্থান গড়ে তোলা হবে।
সূত্রের খবর, সব মিলিয়ে ১৪৮টি ব্রিজ ও ৫২টি টানেল রয়েছে ইম্ফল-জিরিবাম রেলপথে। একেবারে পাহাড়ের পাকদন্ডী বেয়ে চলে গিয়েছে রেলপথ। মণিপুরের সঙ্গে সংযোগ করছে এই রেলপথ।
গোটা রেলপথটাই যেন মনে ভরে শুধুই দেখার। এত অপূর্ব চারদিক। এই রেললাইনের ৫০ শতাংশ জুড়েই রয়েছে একের পর এক টানেল। কাশ্মীরের পীরপঞ্জল রেলওয়ে টানেলের পর ইম্ফলেই রয়েছে দ্বিতীয় দীর্ঘতম টানেল। খুমজি গ্রামের কাছে তৈরি হচ্ছে দেশের সবথেকে লম্বা রেলওয়ে ব্রিজ। বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম টানেল ঘুরে দেখেন। পাশাপাশি মণিপুরে ইম্ফলের রেল স্টেশন সংস্কারের কাজও ঘুরে দেখেন তনি।