চূড়ান্ত নাটক মরুরাজ্য রাজস্থানে। স্পিকারের কাছে ইস্তফাপত্র জমা দিলেন ৮২জন কংগ্রেস বিধায়ক। সকলেই অশোক গেহলট অনুগামী বলেই পরিচিত। এদিকে এদিন সন্ধ্যা থেকে ঘটনাক্রম ক্রমে গড়াতে থাকে।
অশোক গেহলটের অনুগামী ৯২জন কংগ্রেস বিধায়ক ইস্তফার পথে হাঁটেন। সূত্রের খবর, শচিন পাইলটকে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে মানতে নারাজ তাঁরা। আর তার জেরেই এই বড় সিদ্ধান্তের দিকে এগোতে পারেন তাঁরা। মূলত হাইকমান্ডের সিদ্ধান্তকে এবার কার্যত চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দিলেন কংগ্রেসের বিধায়কদের বড় অংশ। কার্যত বড় বিদ্রোহ শুরু হয়ে গেল রাজস্থানে।
একেবারে টলমল অবস্থা রাজস্থান সরকারের। দফায় দফায় বিদ্রোহী বিধায়করা আলোচনায় বসে গিয়েছেন। তবে শেষ পর্যন্ত কী হবে তা নিয়ে একেবারে রূদ্ধশ্বাস পরিস্থিতি।
এই পরিস্থিতিতে এবার গান্ধী পরিবার গড় ধরে রাখতে কী পদক্ষেপ নেয় সেটাই দেখার।
পাশাপাশি এক ব্যক্তি-এক পদ নীতি মেনে অশোক গেহলট নিজেও মুখ্যমন্ত্রীর আসন থেকে ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন বলে খবর। তিনি কংগ্রেস সভাপতির পদে গেলে কে হবেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী? তানিয়েও জল্পনা তুঙ্গে।
এদিকে এদিন সন্ধ্যায় কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক মল্লিকার্জুন খাড়গে ও অজয় মাকেন মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে অশোক গেহলটের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন। রাতের খবর, অজয় মাকেন জানিয়েছেন, কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি সোনিয়া গান্ধী নির্দেশ দিয়েছেন প্রতি কংগ্রেস বিধায়কের সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলতে।
এদিকে রাজস্থানের মন্ত্রী প্রতাপ সিং কাচারিয়াস ও শান্তি ধারিওয়াল মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে অজয় মাকেন ও মল্লিকার্জুন খাড়গের সঙ্গে বৈঠক করছেন। তবে শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি কোনদিকে গড়ায় সেটাই দেখার।
এদিকে সূত্রের খবর, ৮২জন বিধায়ক ইতিমধ্য়েই পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। সকলেই গেহলট ঘনিষ্ঠ বলে খবর। তবে এব্যাপারে এখনও নিশ্চিতভাবে সরকারি তরফে কিছু জানানো হয়নি।
এনিয়ে কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী বলেন, নানা দাবি দাওয়া থাকতে পারে। সময় না গেলে বোঝা যাচ্ছে না। তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষও কটাক্ষ করেছেন কংগ্রেসকে।