বিজেপির রাজনৈতিক উত্থানের নেপথ্যে অযোধ্যার রামমন্দির ইস্যু চিরকালই বড় ভূমিকা পালন করেছে। ২ জন সাংসদের দল থেকে জাতীয় রাজনৈতিক দল হতে বিজেপির হাতিয়ার ছিল এই রামমন্দিরই। এবার ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগেও ফের একবার সেই রামমন্দিরের ওপরই ভরসা রাখতে পারে গেরুয়া শিবির। এই আবহে ২০২৪ সালেই রামমন্দিরের গর্ভগৃহে রামলালার মূর্তি প্রতিষ্ঠিত করা হবে বলে জানা গিয়েছে। মণি রাম দাস ছাভনি পীঠের মহন্ত কমল নয়ন দাস বলেছেন, ২০২৪ সালের জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যে অযোধ্যার রাম মন্দিরের গর্ভগৃহে রাম লালার মূর্তি স্থাপন করা হবে। মন্দিরের দরজা সেই সময় ভক্তদের জন্য খুলে দেওয়া হবে। (আরও পড়ুন: নবান্নর ডিএ আন্দোলনকারীদের নিজে চিনে নিতে চান মমতা, নেবেন কি কড়া ব্যবস্থা?)
প্রসঙ্গত শ্রী রাম জন্মভূমি তীরথ ক্ষেত্র ট্রাস্টের চেয়ারম্যান মহন্ত নৃত্য গোপাল দাসের উত্তরসূরি হলেন এই কমল নয়ন দাস। তিনি আরও জানান, মন্দিরের প্রায় ৭০ শতাংশ নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। জানুয়ারির মধ্যে বাতি ৩০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে বলেও জানান তিনি। এর আগে গত বুধবার, ১৫ মার্চ, শ্রী রাম জন্মভূমি তীরথ ক্ষেত্র ট্রাস্টের কোষাধ্যক্ষ স্বামী গোবিন্দ দেব গিরিও জানিয়েছিলেন যে জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে রামমন্দির খুলে যাবে। এদিকে অযোধ্যার বিশ্ব হিন্দু পরিষদের আঞ্চলিক মুখপাত্র শরদ শর্মা বলেছেন, 'ভক্তরা রাম মন্দির খোলার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।'
আরও পড়ুন: ডিএ-র দাবি জানানো সরকারি কর্মীদের 'লোভী' আখ্যা, বিস্ফোরক তৃণমূল রাজ্য সহসভাপতি
রাম মন্দির নির্মাণে আনুমানিক ১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে। মন্দির সংলগ্ন এলাকায় বিশিষ্ট হিন্দু ধর্মগুরুদের মূর্তি বসানোর জন্য আলাদা জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই বছরের মধ্যেই মন্দিরের প্রথম তলের কাজ শেষ হবে। ২০২৪ সালের ১৪ জানুয়ারির মধ্যে রামলালার মূর্তির শুদ্ধিকরণ হবে এবং পরের সপ্তাহে মন্দির খুলে দেওয়া হবে সাধারণ ভক্তদের জন্য। মন্দির নির্মাণের কাজ কিছুটা বাকি থাকলেও গর্ভগৃহের কাজ ১০০ শতাংশ সম্পন্ন হয়ে যাবে ততদিনে। প্রসঙ্গত, কোভিডের মধ্যেই ২০২০ সালের ৫ অগাস্ট নরেন্দ্র মোদী রামমন্দির নির্মানের ভূমিপুজোয় অংশ নিয়েছিলেন। এরপর অবশ্য পরপর সংক্রমণের ঢএউয়ের কারণে বাধা প্রাপ্ত হয়েছে মন্দিরের নির্মাণ কাজ।