ভয়াবহ কাণ্ড মধ্যপ্রদেশের রাজধানী ভূপালে। সেখানকার গান্ধী মেমোরিয়াল হাসপাতালের মর্গে রাখা মৃতদেহ খুবলে খেল ইঁদুরের দল। ইঁদুরে মূলত মৃতদেহের কানটি খুবলে খেয়ে নেয় বলে অভিযোগ। সেই ঘটনার কথা জানাজানি হতেই তদন্ত কমিটি গঠন করার নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপর তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি তৈরি করা হয়েছে। তবে গোটা ঘটনায় তীব্র ক্ষুব্ধ আত্মীয় পরিজনরা।
মঙ্গলবার বিকালে দেহের ময়না তদন্তের পরে আত্মীয়রা যখন সেটি নিতে আসেন তখনই তারা দেখেন যে দেহ থেকে কানটি নেই।
এরপরই ক্ষুব্ধ পরিজনরা হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। তাদের দাবি এভাবে দেহটি ক্ষতবিক্ষত কীভাবে হল তার তদন্ত করতে হবে।
এরপর গান্ধী মেডিক্যাল কলেজের ডিন তিন সদস্য়ের তদন্ত কমিটি তৈরি করে। এই ঘটনায় কাদের গাফিলতি রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
হিন্দুস্তানের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, জিএমসি ডিন ডাঃ অরবিন্দ রাই জানিয়েছেন, মেডিকো লিগাল ইনস্টিটিউটের তরফে এই মর্গের দেখভাল করা হয়। এটা রাজ্য স্বরাষ্ট্রদফতরের অধীনে থাকে। ফরেনসিক ডিপার্টমেন্টের ডাক্তাররা ময়না তদন্তের ক্ষেত্রে সহযোগিতা করেন। তবে গোটা ঘটনার তদন্তের জন্য় তিন সদস্য়ের তদন্ত কমিটি তৈরি করা হয়েছে।
সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, ডিরেক্টর অফ মেডিকো লিগাল ইনস্টিটিউটকে জানানো হয়েছে যে এই ধরনের একটি তদন্ত আমরা করছি। তারাও তাদের মতো করে তদন্ত করছে। কোন দিক থেকে ত্রুটি ছিল সেটা খতিয়ে দেখা হবে। সেই তদন্ত রিপোর্টের উপর নির্ভর করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া
তবে ডিন জানিয়েছেন, অতীতে তেমন কোনও ঘটনার কথা শোনা যায়নি। ভবিষ্যতে যাতে এই ধরনের ঘটনা আর না হয় সেটা দেখা হবে। সূত্রের খবর, সেই তদন্ত কমিটিতে কলেজের একাধিক ফ্য়াকাল্টি মেম্বার রয়েছেন। সেই তদন্ত কমিটির মাথায় রয়েছেন ফরেনসিক ডিপার্টমেন্টের প্রধান আশিস জৈন। দিন দুয়েকের মধ্য়েই তদন্ত কমিটির রিপোর্ট চলে আসবে বলে মনে করছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে কাদের গাফিলতির জেরে ইঁদুরের বাড়বাড়ন্ত হল মর্গের মধ্যে। কারণ মর্গের মধ্যে একাধিক দেহ থাকতে পারে। সকলেই চান তাঁদের প্রিয়জনদের দেহ একেবারে অবিকৃত অবস্থায় থাকুক। সেই দেহ যেভাবে খুবলে নেওয়া হয়েছে তা কোনওভাবেই মানতে পারছেন না পরিবারের সদস্যরা। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অবশ্য তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে।