একসঙ্গে না থাকলেও কোনও স্ত্রী গলা থেকে মঙ্গলসূত্র খুলে ফেললে তা স্বামীর প্রতি চরমতম মানসিক নিষ্ঠুরতার পরিচয়। পর্যবেক্ষণ মাদ্রাজ হাই কোর্টের। ওই দম্পতির ডিভোর্স মঞ্জুর করেছে আদালত।
সি শিবকুমার নামে ওই ব্যক্তি মেডিক্যাল কলেজের প্রফেসর। এদিকে ওই মহিলা দাবি করেছিলেন সেপারেশনের সময় তিনি মঙ্গলসূত্রটি খুলে ফেলেছিলেন। তবে এর সঙ্গেই তিনি জানিয়েছিলেন থালি বা মঙ্গল লকেটটি তাঁর কাছেই আছে। কিন্তু চেনটি তিনি খুলে ফেলেছেন। তাঁর আইনজীবী আদালতে জানিয়েছেন হিন্দু ম্যারেজ অ্যাক্টে মঙ্গলসূত্র বাঁধা বাধ্যতামূলক নয়। সেটি খুলে ফেললেও বৈবাহিক জীবনে কিছু হয় না।
এদিকে আদালতের পর্যবেক্ষণ ওই মহিলা লকেটটিও ব্যাঙ্কের লকারে রেখে দিয়েছেন। তবে এটা বলা হয় যে কোনও হিন্দু মহিলা তাঁর স্বামীর জীবিত থাকাকালীন মঙ্গলসূত্রটি খুলে ফেলেন না। বিচারপতি ভিএম ভেলুমানি, এস সৌনথরের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, মঙ্গলসূত্র বিবাহিত জীবনের একটি প্রতীক। কেবলমাত্র স্বামীর মৃত্যুর পরে এটি খুলে ফেলা হয়। আর এটা খুলে ফেলার মাধ্যমে সর্বোচ্চ মাত্রায় মানসিক নিষ্ঠুরতার পরিচয় দিয়েছেন ওই মহিলা। এর মাধ্যমে তিনি স্বামীর ভাবাবেগেও আঘাত করেছেন।
বিচারপতিদের বেঞ্চ জানিয়েছে, আমরা কখনই বলছি না যে মঙ্গলসূত্র খুলে মেলা মানেই বিবাহিত জীবনের শেষ। কিন্তু এটার মাধ্যমে অভিপ্রায়টা বোঝা যাচ্ছে। এটা বোঝা যাচ্ছে যে বৈবাহিক সূত্রকে জোড়া লাগানোর কোনও ইচ্ছা তাঁর নেই।
এদিকে স্বামীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন স্ত্রী। সেটাও কার্যত নাকচ করেছে আদালত। আদালত জানিয়েছে, ২০১১ সালের পর থেকে তাঁরা সেপারেশনে থাকছেন। অন রেকর্ড কোনও প্রমাণ নেই যেখানে স্ত্রী সম্পর্ক জোড়া লাগানোর চেষ্টা করছেন। উলটে তাঁর কাজের মাধ্যমে মানসিক নিষ্ঠুরতার পরিচয় দিয়েছেন। এরপরই পারিবারিক আদালতের রায়কে নাকচ করে ডিভোর্সের আবেদন মঞ্জুর করেছে আদালত।