রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ নাকি সংরক্ষণের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগই করে এসেছেন বিরোধীরা। তবে আরএসএস-এর তরফে মঙ্গলবার সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক দত্তাত্রেয় হোসাবলে বলেন, 'সংরক্ষণকে সম্পূর্ণভাবে সমর্থন করে সংঘ। সংরক্ষণ একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। যতক্ষণ না সমাজের একটি নির্দিষ্ট অংশ বৈষম্য থেকে মুক্ত পাচ্ছে, ততক্ষণ এই ব্যবস্থা বহাল রাখা উচিত।'
আরএসএসকে চিরকালই দলিতবিরোধী তকমা দিয়েছে বিরোধীরা। এর জবাবেই যেন দত্তাত্রেয় ভারতের ইতিহাসে দলিতদের ভূমিকা নিয়ে কথা বলেন। দাবি করেন, দলিত ছাড়া ভারতের ইতিহাস অসম্পূর্ণ। তিনি বলেন, 'দলিতদের ইতিহাস, কখনও ভারতের ইতিহাস থেকে আলাদা হতে পারে না। ভারতের ইতিহাস, কখনই দলিতদের ইতিহাস ছাড়া সম্পূর্ণ হতে পারে না।'
সংরক্ষণ ইস্যুতে তিনি বলেন, 'সমাজের কোনও বিশেষ শ্রেণী যতদিন না বৈষম্য থেকে রক্ষা পাচ্ছে ততদিন এটা চলতে থাকবে। তফশিলি জাতি ও উপজাতিদের নিয়ে আলোচনার সময় এই সংরক্ষণের বিষয়টা সামনে আসে। আমি এবং আমার সংগঠন কয়েক দশক ধরে সংরক্ষণের সমর্থক হয়েই কাজ করছি। যখন বেশকিছু জায়গায় সংরক্ষণ বিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল, তখন পটনায় সংরক্ষণের সম্পর্থনে আমাদের পক্ষ থেকে একটি প্রস্তাব পেশ করা হয়। সেই বিষয়ে আলোচনার আয়োজনও করা হয়েছিল সেই সময়।'
এদিকে মঙ্গলবার লোকসভায় পাশ হয় সাংবিধানের ১২৭তম সংশোধনী। এই সংশোধনীর ফলে অন্য়ান্য অনগ্রসর শ্রেণী বা ওবিসি সম্প্রদায়ভুক্তরা সংরক্ষণের সুবিধার বিষয়টি রাজ্যের অধীনে গেল। এতে ওবিসির সুবিধা হল। সোমবার সামাজিক ন্যায় ও ক্ষমতায়ন মন্ত্রী বীরেন্দ্র কুমার লোকসভায় এই বিলটি পেশ করেন। এরফলে রাজ্যগুলির হাতে ফের ওবিসিদের চিহ্নিত করে তালিকা তৈরির ক্ষমতা এল। এর সমর্থনেই দত্তত্রেয় সংরক্ষণ নিয়ে বলেন।