কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে। আইন মেনে এগিয়ে চলেছে ব্রিটেনের ১০ ডাউনিং স্ট্রিটের লড়াই। অউকের প্রধানমন্ত্রিত্বের দৌড়ে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনাকের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী এই মুহূর্তে লিজ ট্রুস। আগামী মাসেই এই লড়াইয়ের গ্র্যান্ড ফিনালের ফলাফল সামনে আসবে। তার আগে ঋষি জানালেন তিনি যদি লিজের কাছে হেরে যান,তাহলে তিনি কী করবেন! কার্যত ঋষি জানিয়েছেন, তিনি ট্রুস মন্ত্রিসভার অংশ হবেন না।
ঋষি বলছেন, 'আমি সরকারে থেকে মন্ত্রিসভায় থেকে গত কয়েক বছরে আমি একটা জিনিস তুলে ধরেছি বড় বড় ঘটনার সঙ্গে তোমায় সহমত পোষণ করতে হবে।' ব্রিটেনে আপাতত যা হাওয়া তাতে টোরি পার্টির নেতৃত্ব সংকটের ভোটাভুটির দৌড়ে ঋষি পিছিয়ে গিয়েছেন লিজের থেকে। বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষৎকারে ঋষি বলছেন, 'কারণ এটা কঠিন' লড়াই। তিনি বলছেন, আর এমন পরিস্থিতিতে তিনি পড়তে রাজি নন। উল্লেখ্য, মন্ত্রিসভা থেকে সুনাকের ইস্তফার হাত ধরেই ব্রিটেনে পড়ে যায় বরিস সরকার। এককালে ব্রিটেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের স্নেহধন্য সুনাক ধীরে ধীরে বরিসের চক্ষুশূল হয়ে ওঠেন। পরবর্তীতে শুরু হয়ে যায় আগামীর ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী নির্ধারণের পালা। সেই জায়গা থেকে ব্রিটেনের সংবাদমাধ্য়মগুলি বলছে, লিজ ট্রুস জিতে গেলে সুনাক তাঁর সম্ভাব্য স্বাস্থ্য সচিব হয়ে উঠবেন। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়ি, লরি আচমকা ঢুকে পড়ল পুজো মন্ডপে! কোন দাবি পুজো কমিটির?
তবে লিজের কাছে হারলে সুনাক কী করবেন? কোনপথে এগোবে তাঁর রাজনৈতিক কেরিয়ার? সুনাক বলছেন, 'আমি আপাতত চাকরি বা অন্য কিছু নিয়ে ভাবছি না।' উল্লেখ্য, সদ্য এক সভায় ঋষি সুনাক বলেছেন, 'আমাদের তিনটি জিনিস করতে হবে। প্রথমে আস্থা অর্জন করতে হবে। তারপর আমাদের অর্থনীতিকে গড়ে তুলতে হবে। তারপর আমাদের দেশকে একাত্ম করতে হবে।' তিনি বলছেন, 'আমি সেই রাস্তা বেছে নিয়ে কথা বলিনি যা মানুষ শুনতে চেয়েছেন। বরং আমি মনে করেছি দেশের যেটা শোনা দরকার সেটা বলাটা জরুরি।'