কেন্দ্রকে টিকা সরবরাহ করে খরচ উঠছে না। তাই সেই খরচ পুষিয়ে নেওয়ার জন্য বেসরকারি হাসপাতালের থেকে করোনাভাইরাস টিকার দাম বেশি নেওয়া হচ্ছে। মঙ্গলবার এমনই যুক্তি খাড়া করল ভারত বায়োটেক।
হায়দরাবাদের টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থার তরফে দাবি করা হয়েছে, কেন্দ্রকে ডোজপিছু যে ১৫০ টাকায় কোভ্যাক্সিন বিক্রি করা হচ্ছে, তা দীর্ঘকালীন সময় মোটেও উপযুক্ত নয়। তাই খরচ পুষিয়ে নেওয়ার জন্য বাজারে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
এমনিতে কেন্দ্রের নির্দেশ মতো মোট উৎপাদিত কোভ্যাক্সিনের ১০ শতাংশের কম বেসরকারি হাসপাতালকে বিক্রি করতে পারবে ভারত বায়োটেক। বাকি টিকার বেশিরভাগটাই রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে সরবরাহ করা হয়েছে। আপাতত কেন্দ্রকে ডোজপিছু ১৫০ টাকা, রাজ্যকে ৪০০ টাকা এবং বেসরকারি হাসপাতালকে ১,২০০ টাকা কোভ্যাক্সিন বিক্রি করা হয়। ভারত বায়োটেকের তরফে দাবি করা হয়েছে, গড়ে ডোজপিছু কোভ্যাক্সিন উৎপাদন করতে খরচ পড়ে ২৫০ টাকা। আগামিদিনে রাজ্য এবং কেন্দ্র সরকারকে সরবরাহ করা হবে ৭৫ শতাংশ কোভ্যাক্সিন। বাকি ২৫ শতাংশ কোভ্যাক্সিন বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে বিক্রি করা হবে।
এমনিতে গত মাসে দুই থেকে ১৮ বয়সিদের উপর কোভ্যাক্সিনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের ক্নিনিকাল ট্রায়াল চালানোর জন্য ভারত বায়োটেককে অনুমতি দিয়েছে ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই)। ইতিমধ্যে দেশের কয়েকটি প্রান্তে সেই ট্রায়াল শুরু হয়ে গিয়েছে। ভারত বায়োটেকের তরফে দাবি করা হয়েছে, কোভ্যাক্সিনের জন্য নিজেদের তহবিল থেকে ৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। সেই অর্থ ক্লিনিকাল ট্রায়াল, কারখানা তৈরির জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে।