বিস্ফোরক বিবিসি রিপোর্ট। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন যে ওয়াগনার গ্রুপ তাদের সমস্ত অস্ত্র ও অন্যান্য সামগ্রী সব সারেন্ডার করবে। তাদের যে যোদ্ধা রয়েছে তাদের আহ্বান করা হচ্ছে তারা যেন রাশিয়ার সেনাতে যোগ দেন।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, মস্কোর সামরিক অধিনায়কদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছে এই রুশ ভাড়াটে সেনাদল। তার জেরে এই গ্রুপকে ভেঙে দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে এর আগেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ওই গ্রুপের জন্য় একাধিক অপশন দিয়েছিলেন। যেমন তারা প্রয়োজনে রুশ সেনাতে যোগ দিতে পারেন। তারা প্রয়োজনে বেলারুশেও চলে যেতে পারেন। তাদের পরিবারের কাছেও ফিরে যেতে পারেন।
এদিকে সূত্রের খবর, ওয়াগনার গোষ্ঠীর প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন বেলারুশের রাজধানী মিনস্কতে গিয়েছেন। আসলে ওই গ্রুপ যখন বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিল তখন তাদের সঙ্গে রাশিয়ার ক্ষমতাসীন সরকারের একটা বোঝাপড়া হয়েছিল। তার ভিত্তিতেই ওই নেতা বেলারুশে গিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। একটি বিমানে তিনি গিয়েছেন বলে দাবি করা হচ্ছে। তবে এনিয়ে নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না। ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ওই নেতা কোথায় রয়েছে তা নিয়ে তাদের কাছে কোনও তথ্য় নেই।
এদিকে সূত্রের খবর, ওয়াগনার গ্রুপের সদস্যরা সামরিক বহর নিয়ে মস্কোর পথেও নাকি রওনা হয়ে গিয়েছিল। তাদের হাতে রাশিয়ার কয়েকজন পাইলট নিহত হন। এরপরই এনিয়ে জোর চাঞ্চল্য ছড়ায়। রিপোর্টিংয়ে বলা হয়েছিল সব মিলিয়ে প্রায় ১৩জন পাইলটের মৃত্যু হয়েছিল। রস্তভ অন ডনের একেবারে প্রধান মিলিটারি সাইটকেও তারা কব্জা করতে চেয়েছিল।
তবে ১১ মিনিটের একটা অডিও বার্তা দিয়েছিলেন প্রিগোজিন। সেখানে তিনি জানিয়েছিলেন, রাশিয়ার রকেট হানায় আমাদের ৩০জন যোদ্ধা প্রাণ হারিয়েছিল। তারই বদলা নিতে চেয়েছি আমরা। আমরা অবিচারের প্রতিবাদে এগিয়ে যাওয়া শুরু করেছিলাম। রাশিয়ার সাধারণ মানুষ রাস্তায় বেরিয়ে আসেন।তাদের সঙ্গে রাশিয়ার পতাকা ছিল। তাদের সঙ্গে ওয়াগনারের প্রতীক ছিল। আমরা যত এগিয়েছি তাঁরা উচ্ছাস প্রকাশ করেছেন।
এদিকে সূত্রের খবর, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও অত্যন্ত সতর্ক হয়ে পা ফেলছেন। প্রিগোজিনের সংগঠনের বিরুদ্ধে কোন কোন অভিযোগ রয়েছে সব এককাট্টা করে ফেলেছেন তিনি। তবে এভাবে রাশিয়ার বিরুদ্ধে রুশ ভাড়াটে সেনা ওয়াগনারের বিদ্রোহকে কেন্দ্র করে নানা চর্চা হচ্ছে। কারণ এই প্রাইভেট মিলিশিয়া গ্রুপের বহু সদস্য়ের রকেট হামলায় মৃত্যু হয় বলে দাবি করে ওয়াগনার। তারপরই হাওয়া ঘুরে গিয়েছে।